কলকাতা: 'সেনাবাহিনী (Indian Army), পুলিশবাহিনীকে (Police) কুর্নিশ জানাই', রাষ্ট্রপতিকে (President Draupadi Murmu) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বার্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার দুদিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নেতাজি ইন্ডোরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেয় রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। তার পরই বার্তা, 'আমার অফিসারদেরও কুর্নিশ জানাই। সাধারণ মানুষকেও স্যালুট আমার।' ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশেও শুভেচ্ছাবার্তা দেন মমতা। 


আর কী বললেন?
'স্বাধীনতার আগে বাংলাতেই ভারতের রাজধানী ছিল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ, এমনকি মহাত্মা গাঁধী সকলের অন্যতম কর্মভূমি ছিল বাংলা', মনে করান মুখ্য়মন্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, রাজা রামমোহন রায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকিদের স্মরণ করেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান যে এই বাংলা-ই, সে কথাও মনে করিয়েছেন তিনি। তবে একই মঞ্চ থেকে সার্বিক ঐক্যেরও বার্তা দিতে শোনা যায় তাঁকে।  মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বাংলা মানে মানবিকতা। আমরা মানুষ ভালোবাসি। আমাকে কেউ কখনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্বোধনে করলে আমি বলি আমার পরিচয়, একজন মানুষ।' তবে সবশেষে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর কাছে তাঁর আর্জি, 'গরিব জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করুন। আমরা এই দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবিটা দেখতে চাই।'


যা ঘটল...
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, প্রথমবার বঙ্গ সফরে এসেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আর প্রথমদিনই তাঁর মুখে শোনা গেল 'জয় বাংলা' স্লোগান। এদিন তাঁর হাতে ডোকরার দুর্গামূর্তি তুলে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। এছাড়াও, দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে একে একে স্মারক তুলে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। মুখ্য়মন্ত্রী ছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়পাল, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতার মেয়র। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কলকাতার ৩ বড় ফুটবল দল, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রতিনিধিরা।
ছিলেন, হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব পুরীর মতো শিল্পপতিরা। এদিন, রাষ্ট্রপতির সামনে, আদিবাসী নৃত্য়ের ছন্দে পা মেলান মুখ্য়মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাও।
নাচ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্য়পাল। সোমবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ছিলেন রাজ্য় পালও। রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন মমতা। বিমানবন্দরেই গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় তাঁকে। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর ছিল সব মহলেরই।

আরও পড়ুন:শুরুতে নেই শ্রেয়স, নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দিল কেকেআর