মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পানাগড়(পশ্চিম বর্ধমান) : পানাগড় শিল্পতালুকে ২০০৮ সালে শিল্পায়নের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে প্রায় ১৫০০ একর জমি নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই শিল্পাঞ্চল। ঠিক তার পরেই বেশ কয়েকটি কারখানা এলেও মাঝে কয়েক বছর একটিও কারখানা আসেনি । এই পরিস্থিতিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শিল্পতালুকে বেসরকারি পলিফিল্ম কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। পিভিসি পাইপ-এর একটি কারখানার নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে । প্রায় চারশো কোটি টাকার এই প্রকল্পে বেশ কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নামবেন দুর্গাপুরের স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড। এর পর বুধবার দুপুর দেড়টায় পানাগড় শিল্পতালুকে বেসরকারি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। কথা বলবেন উদ্যোগপতিদের সঙ্গে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পানাগড় শিল্পতালুকে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকণ্ঠম, দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।


আ্রশা করা হচ্ছে, পানাগড় শিল্পতালুকে এই বেসরকারি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর আশপাশের এলাকার প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বুধবার যে কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে স্থাপিত হবে, তার উৎপাদন শুরু হতে তিন বছর সময় লেগে যাবে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর দুর্গাপুরকে।


উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ঘিরে বৃষ্টি নিয়ে একটা চিন্তা রয়েছেই। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। ছাউনি দিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলোচনায় কী উঠে আসে সেদিকেও নজর থাকবে সকলের। প্রসঙ্গত, আশপাশের প্রায় দেড় হাজার একর জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে পানাগড় শিল্পতালুক। এই শিল্পতালুক নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে এলাকার মানুষের। কাল মুখ্যমন্ত্রী কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে অনেকের কর্মসংস্থানের আশা করা হচ্ছে।