কলকাতা: কয়লাপাচার মামলায় (Coal Case) রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রীর। সোমবার দুবাই যাওয়ার পথে, কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। সেখানেই হাজিরার নোটিস ধরানো হয় তাঁকে।
সূত্রের খবর, অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলে এই নিয়ে দু’বার ইডি-র মুখোমুখি হবেন রুজিরা।
কয়লাপাচার মামলায় অভিষেকের পরিবারকে বার বার তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে হয়েছে। এর আগে অভিষেকও দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০২১-এর ৬ সেপ্টেম্বর, দিল্লিতে ইডি-র দফতরে প্রথম বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হন অভিষেক। সেদিন তাঁকে প্রায় ন'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর ৬ মাস পর ২০২২-এর ২১ মার্চ, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ফের অভিষেককে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
এর আগেও রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২১-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে, CBI রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২০২২-এর ১৪ জুন, ফের 'শান্তিনিকেতনে' গিয়ে রুজিরাকে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আট দিন পর ২৩ জুন, কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার ED-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেকের স্ত্রী। শিশু সন্তানকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি।
কয়লা পাচার মামলায় ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেকের শ্য়ালিকা মেনকা গম্ভীর (Menaka Gambhir)। সিজিও কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকেও। গত বছর সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরেই ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে আটকানো হয় মেনকাকে। তার আগে দিল্লিতেও তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
কয়লাপাচার কাণ্ডে বার বার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। রুজিরাকে তলব করা নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে পেরে না উঠেই, স্ত্রী-সন্তানদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এ যাবৎ তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো হেভিওয়েট নাম যেমন রয়েছে, যুব তৃণমূল থেকে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও সামনে এসেছে। এঁরা জেলে থাকতে থাকতে আবার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন। কয়লাপাচার মামলায় তদন্তকারীদের নজরে অভিষেকের পরিবারও।