নয়াদিল্লি: করোনা আবহে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) পিজি। ১২ মার্চ এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিট পিজি কাউন্সেলিং ২০২১ যে সময়ে হওয়ার কথা, সেই সময়ই নিট পিজি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 





নিট পিজি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ৬ জন এমবিবিএস পড়ুয়া। আজই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিল, ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল পরীক্ষা।


গত ২৫ জানুয়ারি এমবিবিএস পড়ুয়াদের পক্ষ থেক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানানো হয়, আজ শুনানি হবে। তবে তার আগেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।


সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘১২ মার্চ ২০২২ তারিখে নিট পিজি ২০২২ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ আসছিল। নিট পিজি ২০২১ কাউন্সেলিং ও পরীক্ষার দিন একই সময়ে পড়ায় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কারণ, একই সময়ে পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং হলে অনেক ইনটার্নের পক্ষেই কাউন্সেলিংয়ে যোগ দেওয়া সম্ভব হত না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।’


এর আগে গতকাল গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এগজ্যাম (গেট) স্থগিত রাখার আবেদনের বিষয়ে কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কাল পরীক্ষা হওয়ার কথা। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ বলে, ‘নির্ধারিত সূচির ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া যায় না। সেটা করলে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। পড়ুয়ারা পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছেন। তাঁদের কেরিয়ারের সঙ্গে খেলা করা যায় না।’


তবে পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিষয়ে কোনও নির্দেশ না দিলেও, সুপ্রিম কোর্ট বল, আইআইটি খড়্গপুর যদি শনিবার পরীক্ষা নিতে রাজি না থাকে, তাহলে তারা চাইলে গেট স্থগিত রাখতে পারে। কিন্তু আদালত এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেবে না।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI