কোচবিহার, শুভেন্দু ভট্টাচার্য : সোমবার একদিকে যখন নরেন্দ্র মোদি কাশীধামে (Kashi) শিব-অর্চনা করছিলেন, তখন রাজ্য়ের বিজেপি নেতারাও দিকে দিকে শিবপুজো (Shiv) শুরু করে দেন। কলকাতা থেকে বর্ধমান, সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মহাদেবের অর্চনা শুরু হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের নেতাদের হাতে।
বারাণসীতে সোমবার নবরূপে কাশী বিশ্বনাথ ধামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( PM Narendra Modi)। সেই উপলক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি (BJP) নেতারাও। দিব্য কাশী ভব্য কাশী নামে গেরুয়া ব্রিগেডের এই কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূলও। এবার কোচবিহার (Cooch Behar) শহরে বিভিন্ন শিব মন্দিরে পুজো দেওয়া শুরু করল বঙ্গের শাসক দল।
আরও পড়ুন :
আলোকমালায় সাজল গঙ্গার ঘাট, ক্রুজে বসে সন্ধ্যা আরতি দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও বিজেপি বিধায়করা যে মন্দিরগুলিতে পুজো দেন। সেই মন্দিরগুলিতেই এবার পাল্টা পুজো দিল কোচবিহার শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব। আর পুরভোটের আগে ধর্মকে হাতিয়ার করেই তরজায় জড়িয়েছে দু’দলই। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ দে-র দাবি, ভোট এলেই ধর্মের কথা মনে পড়ে বিজেপির ! বিধানসভা ভোটের আগে অস্ত্রপুজো করেছিল, এবার পুরভোটের আগে ফের মন্দিরে বিজেপি .... আমরা তো সারাবছরই পুজো করি। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ' ভাল লাগল শুনে যে তৃণমূল পুজো করছে, ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে'
শুধু মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে বাগযুদ্ধেই থেমে নেই তৃণমূল-বিজেপি। ধর্মীয় স্থানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা। নিশীথের দাবি, দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে ২১টি মন্দির রয়েছে, তার রক্ষণাবেক্ষণ ভালভাবে হয় না। আবার রাজ্যের শাসকদলের নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রাজ্য ভালভাবেই কাজ করছে।
এনিয়েই পুরভোটের আগে কোচবিহার শহরে তরজায় জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধীপক্ষ। অন্যদিকে বারাণসীতে সোমবার গভীর রাতে বারাণসী রেল স্টেশন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। স্টেশনের বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রী জানান, রেল যোগাযোগের পাশাপাশি আধুনিক, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্টেশন গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।