কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: রাজ্যে ফের পোশাক বিতর্ক, আচার্য জগদীশচন্দ্র কলেজে ফরমান। কৃত্রিমভাবে ছেঁড়া পোশাক বা প্যান্ট পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি কলেজে। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, “ছেঁড়া-ফাটা পোশাক পরে এলেই কলেজ থেকে টিসি।‘’ ছেঁড়া-ফাটা পোশাক পরে আসা যাবে না কলেজে’’। পোশাক নিয়ে কড়া নির্দেশ আচার্য জগদীশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন শোয়ের মঞ্চ নয়, জানালেন অধ্যক্ষ।
কলকাতার কলেজে পোশাক ফতোয়া: আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজের (Acharya Jagadish Chandra Bose College) চার লাইনের বিজ্ঞপ্তি। যে বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি স্বাক্ষর। যেখানে বলা হয়েছে কলেজে ছেঁড়া পোশাক, ছেঁড়া প্যান্ট পরে আসা যাবে না। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে কর্মীদের ক্ষেত্রেও। বলা হয়েছে কেউ ছেঁড়া পোশাক পরা এলে তাঁকে টিসি পর্যন্ত দেওয়া হবে। যদিও কলেজে পোশাক বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে আশুতোষ কলেজেও এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল।
পোশাক নিয়ে বিতর্ক: এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের যুক্তি, পোশাক পরার স্বাধীনতা থাকতেই পারে। কিন্তু কলেজের ভেতরে এই পোশাক পরা যাবে না। তাঁর দাবি, কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছেন, ছেঁড়া পোশাক বা ছেঁড়া জিন্স পরে কেউ কেউ আসছেন। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরার উপযুক্ত নয়। তাই এই বিজ্ঞপ্তি। এবিষয়ে পড়ুয়া বলেন, “এখন এটা ফ্যাশনের মধ্যেই আছে। এই বিজ্ঞপ্তির কোনও দরকার ছিল না।‘’ আরেক ছাত্রের কথায়, “আমরা এটা মেনে নিচ্ছি। তবে আমাদের দাবি থাকবে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার।‘’
পোশাক বিতর্কে কী বলছেন অধ্যক্ষ? অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করছি যে, ২ থেক ৩ শতাংশ পড়ুয়া বিকৃতভাবে ছেঁড়া জিন্স পরে কলেজে আসছে। আমার খারাপ লাগল। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যবিধি থাকতে হবে। এটা তো ফ্যাশন শোয়ের মঞ্চ নয়। এটা পড়াশোনা করার জায়গা। ছেঁড়া ফাটা জিন্স নিয়ে শুদ্ধ চিন্তায় পড়াশোনা করতে পারবে বলে মনে হয়নি।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence : 'ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র' বিস্ফোরক দাবি রামপুরহাট কাণ্ডে গ্রেফতার আনারুলের