অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চকোলেট ‘চুরি’র (shoplifting) ছবি ভাইরাল (viral) হওয়ায় অপমানে আত্মঘাতী (suicide) ছাত্রী (student)। আলিপুরদুয়ারের (alipurduar) জয়গাঁর ঘটনা। স্থানীয় একটি শপিং মল থেকে চকোলেট চুরির অভিযোগ উঠেছিল ওই কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, সেই সংক্রান্ত ছবি ভাইরাল হওয়ার অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।


কী ঘটেছিল?
মৃতার বাবা রতন ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ে কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়ত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছোট বোনকে নিয়ে জয়গাঁর শপিং মলে গিয়েছিল সে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ওই শপিং মল থেকে সকলের অজান্তে একটি চকোলেট তুলে নিয়েছিলেন জয়গাঁ সুভাষপল্লীর বাসিন্দা ওই তরুণী। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যান। তরুণীর বাবার অভিযোগ, সেই সময়ে মলের কর্মচারীরা তাঁদের দুই ঘণ্টা আটকেও রাখেন ৷ শেষমেশ দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন ছাত্রী। এতেই শেষ নয়। পরিবারের তরফে দাবি, চকোলেটের দামবাবদ টাকাও মিটিয়ে দিয়েছিলেন কলেজছাত্রী। কিন্তু ঘটনার সময় শপিং মলে কর্মরত অনেকেই তাঁর ছবি তুলে নিয়েছিল। ছবিগুলি যাতে কোথাও না বেরোয় সে ব্যাপারে বার বার অনুরোধ করেন তরুণী। কিন্তু তার পরও ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায় ৷ এর পরই গত কাল রাতে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি, জানিয়েছে পরিবার। জয়গাঁ-র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্ধ্যোপাধ্যায় জানান, মৃতার পরিবারের তরফে শপিং মলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মামলা দায়ের করে তদন্তও শুরু হয়েছে। সোশাল মিডিয়ার ছবি এবং শপিং মলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। যদিও শপিং মলটি বন্ধ থাকায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গত কাল রাতের ওই মর্মান্তিক ঘটনার আজ জয়গাঁ থানায় স্থানীয় মানুষজন মলের কর্মী ও ম্যানেজারের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ প্রসঙ্গত, আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক ব্যাখ্যা আগেও উঠে এসেছে বহু ক্ষেত্রে।


নানা ঘটনা...
গত মে মাসেই এক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। স্থানীয় শ্মশানে একটি বাবলা গাছ থেকে পাওয়া যায় এক মহিলা ও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সে বার। একই শাড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছিল দু’টি দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল জীবন থেকেই মৃত যুগলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এই মহিলার পরিবারের লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি হননি। তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের পরেও পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মৃতার। বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানতে রাজি ছিলেন না। ঘটনার আগের রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই মহিলা। পর দিন সকালে ওই প্রকাশ্যে আসে মর্মান্তিক খবর। 


আরও পড়ুন:জাতীয় সড়ক থেকে ২০০ ফুট নিচে পড়ল গাড়ি, কার্শিয়াঙে দুর্ঘটনায় মৃত ৩