শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উদয়ন গুহর (Udayan Guha) বিরুদ্ধে সার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলায়, তাঁর ভাগ্নি উজ্জয়িনী রায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন মন্ত্রীর ছেলে। ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে ওই বিজেপি (BJP) নেত্রীকে। পাল্টা আইনি নোটিস পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন মন্ত্রীর ভাগ্নিও। 


উদয়ন গুহর ছেলে সায়ন্তন গুহ বলছেন, আমাদের প্রথম উকিলের চিঠি, আমি আপনাদের দিচ্ছি, এই উকিলের চিঠি অলরেডি স্পিড পোস্টে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিজেপি নেত্রী ও উদয়ন গুহর ভাগ্নি উজ্জয়িনী রায়ের কথায়, উনি তো নিজেই স্বীকার করেছেন, চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত, বামফ্রন্টের আমল থেকে করছেন। দেখা হবে ওনার সাথে আমাদের কোর্টে, তবে আমাদের সঙ্গে ওনাদের দিল্লিতে দেখা হবে।


উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর পরিবারের সঙ্গে, তাঁর ভাগ্নি, বিজেপি নেত্রী উজ্জয়িনী রায়ের সংঘাত আরও জোরাল হল! উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে সার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলায়, এবার উজ্জয়িনীকে আইনি নোটিস পাঠালেন মন্ত্রীর ছেলে সায়ন্তন গুহ।


১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে, মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বাম আমলকে নিশানা করতে গিয়ে, প্রয়াত বাবা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কমল গুহকে কাঠগড়ায় তুলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। মামা উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, খোদ তাঁর ভাগ্নি ও বিজেপি নেত্রী উজ্জয়িনী রায়। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, মামার বিরুদ্ধে সার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। 


এমনকী গত ২৯ মার্চ, ফেসবুকে ভিডিও বার্তাতেও একই অভিযোগ তোলেন উজ্জয়িনী। এরপরই মানহানির অভিযোগে তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন উদয়ন গুহ ছেলে সায়ন্তন। আরও কয়েকজনকে একই ধরনের নোটিস পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


উদয়ন গুহর ছেলে  সায়ন্তন গুহর কথায়, তাঁর একটা বক্তব্যের জন্য, যেখানে সে বলছে, আমার বাবা উদয়ন গুহ, কোনও এক বামফ্রন্টের আমলে, যখন আমার ঠাকুরদা মন্ত্রী, তখন বীজ কিংবা সার কোনও একটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। আমি তাঁকে প্রমাণ দিতে বলেছি, বা ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে এই কেস করে দেব। হাইকোর্টের উকিলের সঙ্গে কথা বলে এই নোটিস পাঠিয়ে দিলাম।


পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন উদয়ন গুহর ভাগ্নিও। উজ্জয়িনী রায় এ প্রসঙ্গে বলছেন, বলা হয়েছে আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। আমরা চাইছি ওনারা মামলা করুক, আদালতের বিষয়টি দেখা হবে। শুধু সার কেলেঙ্কারি, সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে, উনি কত কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত। যদিও উনি কমল গুহর নাম জড়িয়েছেন, কিন্তু আমরা জানি উনি কমল গুহর নাম ভাঙিয়ে উনি এগুলি পিছনে করেছেন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাত, আগেই পরিবারের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। শেষমেশ কি তা আদালত পর্যন্ত গড়াবে?