রাজা চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার: রাত পোহালেই বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে উঠতে বাধা। আর সেই বাধা দিতে দেখা গেল খোদ রাজ্য পুলিশকে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় উঠেছে এই অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিজেপি কর্মীরা নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে স্টেশনে এসেছিলেন। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে দেখা গেল কিছু পুলিশকর্মীকে। উত্তরবঙ্গ জুড়েই বাধা দেওয়ার এই ছবিটা দেখা দিয়েছে সোমবার। স্টেশনে দাঁড়ানো স্পেশাল ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে।


আলিপুরদুয়ারে প্রশ্ন:
আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ভিড় করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। ট্রেন ধরে হাওড়া-কলকাতায় আসার কথা ছিল তাঁদের। সেখানেই তাঁদের বাধা দেয় রাজ্য পুলিশ। আলিপুরদুয়ার স্টেশনের মধ্যে ঢুকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ আরপিএফ। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ কীভাবে স্টেশনে ঢুকে এই কাজ করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আরপিএফ। 


জেলা পুলিশের দাবি:     
প্ল্যাটফর্মে যাঁরা জমায়েত করেছিলেন। তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। মিছিল করে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। সেই কারণেই বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে। 


বাধার নানা ছবি:
কোথাও ব্যারিকেড দেওয়ার ছবি দেখা যায়। কোথাও আবার স্টেশনে টহল দিতে দেখা যায় জেলা পুলিশকে। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের বাধায় অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি। এদিন কামাখ্যাগুড়ি- আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে পুলিশকে 'টহল' দিতে দেখা যায়। কোচবিহারেও ট্রেনে উঠতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্পেশাল ট্রেনে বিজেপি কর্মীদের উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম শিবিরের দাবি, বিজেপি কর্মীরা যাতে কলকাতায় না আসতে পারেন সেই কারণেই চক্রান্ত করে এই কাজ করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করেছে, এখানে কিছু বলার নেই। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর দাবি,'পুলিশ বিজেপি কর্মীকে আটকায়, এমন প্রমাণ নেই'। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপির লোক নেই, ব্যর্থতা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।


শুভেন্দুর নিশানায় পুলিশ:
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় পুলিশকেই নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে তিনি লেখেন, 'কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে পিসির দালালরা বিজেপি কর্মীদের আটকাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ উত্তর কোরিয়ায় পরিণত হয়েছে। পিসি ভয় পেয়ে নবান্ন ছেড়ে মেদিনীপুরে পিকনিক করতে পালাচ্ছেন। তাঁকে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে করাতে চাই। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'


টুইট-তোপ মালব্যর: 
শুভেন্দুর পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর। তাঁর টুইট, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির নবান্ন চলো অভিযানে ভয় পেয়েছে বাংলার প্রশাসন। বিজেপি কর্মীদের কলকাতায় যাওয়া আটকে স্থানীয় প্রশাসনকে নামানো হয়েছে। কতজনকে আটকাবেন মমতা?'


আরও পড়ুন: মানা হয়নি আদালতের নির্দেশ', হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেকের শ্যালিকা