কলকাতা: ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সমাবর্তন ঘিরে ফের জটিলতা। কোর্ট মিটিং করার অনুমতি চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি অন্তর্বর্তী উপাচার্যর অন্তর্বর্তী উপাচার্যর আদৌ কোর্ট মিটিং ডাকার এক্তিয়ার আছে কিনা জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি রাজভবনের: সূত্র। তারপরই রাজ্যপালকে নিশানা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)।
'২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তনের অনুমতি দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু রাজ্যপাল প্রয়োজনীয় কোর্ট মিটিং ডাকতেই সম্মতি দেননি। অথচ একই আইনি পরিমণ্ডলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন করিয়েছেন রাজ্যপাল। আসল লক্ষ্য কি ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ নয়? রাজ্য সরকারের বিরোধিতাই কি সবকিছুর মূলে? জোছনা রাতে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের চোখে এভাবে উনি আলকাতরা মাখাতে চান? কে থামাতে পারবে এই বোম্বাগড়ের রাজাকে?', রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট ব্রাত্য বসুর।
পুজোর আগেও রাজ্যপালকে (Governor CV Ananda Bose) আক্রমণ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)। আনন্দ বোসকে কবি-কটাক্ষ করেছিলেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, 'রাজভবনে কবি বসে আছেন। এই কবি কামার বা কুমোরের নয়, এই কবি রাজার। দুটো দর্শনের লড়াই চলছে, একদল কুক্ষিগত করতে চায়। একদল বলতে চায়, আমি চালভাজা, আমিই মুড়ি। একটা সাদা হাতির মতো পদ রাখার কী যৌক্তিকতা আছে?'বলে সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেছিলেন ব্রাত্য বসু।
রাজ্যপাল নিয়োজিত উপাচার্যদের নিশানাও করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকেও কবি বলে কটাক্ষ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলছিলেন,'কবির মেয়াদ তো আর ৫-৬ মাস। আমি কি তাঁদের বলব যে, 'এক মাঘে শীত যায় না।আমি কি তাঁদের বলব যে, বাংলাতেই থাকতে হবে। এসব না বললেও কাছাকাছি কিছু একটা বলব', রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কড়া ভাষায় রাজ্য় সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার জবাব দিতে গিয়েই রাজ্যপালের উদ্দেশে 'মহম্মদ বিন তুঘলক, ফাঁসুড়ে'-র মতো শব্দ ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী। মূলত গত রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তার পাল্টা গত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ইস্যু নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যপাল চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পরই ট্যুইটারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ব্রাত্য বসুর। কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ' সাবধান, সাবধান, সাবধান ! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার উপস্থিত হয়েছেন। সাবধান হয়ে যান শহরবাসী। রাক্ষস প্রহরে’র জন্য উদগ্রীহ হয়ে অপেক্ষা করছি, যার উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনিতে।'