Kamduni Case: 'রাজ্যের গাফিলতিতেই কামদুনির অভিযুক্তদের মুক্তি..', হাজরা মোড়ে বিক্ষোভে Congress

Congress on HC Verdict: কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভে কংগ্রেস।

Continues below advertisement

কলকাতা: 'রাজ্যের গাফিলতিতেই কামদুনির অভিযুক্তরা মুক্তি পাচ্ছে', অভিযোগ তুলে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভে কংগ্রেস (Congress)। যথাযথ প্রমাণ পেশে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ।

Continues below advertisement

২০১৩ সালের ৭ জুন এক নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শিরোনামে উঠে এসেছিল উত্তর ২৪ পরগনার অখ্য়াত জনপদ কামদুনি। এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে এসেছিল সেখানে। তবে এদিন হাইকোর্টের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, দোষী সাব্যস্ত আনসার আলি মোল্লার  ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত সইফুল আলি মোল্লারও ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির সাজা হয়েছিল আমিন আলীরও, তবে আজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর বেকসুর ছাড়া পেয়েছে সেও। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ছাড়া পেয়েছে ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম।

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর নির্যাতিতা পরিবারের তরফে বলা হয়,' আমরা চেয়েছিলাম দোষীদের যেনও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হোক। বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কাছে চিঠি দেওয়া, মেল করা সত্ত্বেও কোনও সদুত্তর আসেনি বলেই অভিযোগ তাঁদের। সরকারের কোনও সদিচ্ছা নেই, এটা তাঁরা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন বলেই দাবি করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়ই তাঁরা চেয়েছিলেন। তাঁদের কথায়,' ৬ জন দোষী, ৬ জনেরই ফাঁসি চেয়েছিলাম। ১০ বছর আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি।' কিন্তু এই রায়ে সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। এদিন তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায় তাঁরা মেনে নিতে নারাজ। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা দেন  টুম্পা কয়াল।

কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ-খুনের মামলায় গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের কাছে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হয় স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলের জন্য।

আরও পড়ুন, 'Group D চাকরিপ্রার্থীরাও রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান..', ট্যুইট শুভেন্দুর

শুক্রবার কামদুনিকাণ্ডে এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  আর তারপর থেকেই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কামদুনি। সিআইডি আর রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করছে নিহত নির্যাতিতার পরিবার। রায় ঘোষণার রাতেই কামদুনিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়ে সিআইডি। শুক্রবার রায় ঘোষণার পরই সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। এরপর রাতে মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেয় হতাশ পরিবার ও কামদুনির প্রতিবাদীরা।  

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola