হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : উত্তরপ্রদেশ থেকে গাড়ি করে গঙ্গাসাগর ( Gangasagar ) যাওয়ার পথে পুরুলিয়ার কাশীপুরে ( Purulia Kashipur ) তিন সন্ন্যাসীকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল। হল গাড়ি ভাঙচুরও। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে কাশীপুর থানার পুলিশ। গণপিটুনির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে।
অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ওই সন্ন্যাসী কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছে তিন নাবালিকাকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করতেই অপহরণকারী সন্দেহে তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে স্থানীয়দের কয়েকজন আক্রান্ত সন্ন্যাসীদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থনে ছুটে যান বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
বিজেপির অভিযোগ
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি টেনে এনেছেন মহারাষ্ট্রের পালঘরে সন্ন্যাসী-নিগ্রহের প্রসঙ্গও। একেস হ্যান্ডলে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। মকর সংক্রান্তির জন্য় গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন সাধুরা। পালঘরের মতোই তাঁরা গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শেখ শাহজাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীরা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পাচ্ছে আর সাধুরা গণপিটুনির মুখে পড়ছেন।' একই সুরে ট্যুইট করেছেন সুকান্ত মজুমদারও।
অন্যদিকে পুরুলিয়ায় সন্ন্যাসীদের গণপিটুনির অভিযোগ নিয়ে এরাজ্যে এসে পুরুলিয়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও।
বিজেপি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে পালঘরের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ২০২০ সালে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল পালঘরে গণপিটুনিতে সন্ন্যাসী মৃত্যুর ঘটনা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে শিশুচুরির গুজবে ৩ সন্ন্যাসী-সহ ৩ জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পালঘরের গড়চিঞ্চলে গ্রামে প্রায় ১০০ গ্রামবাসী সশস্ত্র অবস্থায় সন্ন্যাসীদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। মারা যান ২ জন।
তৃণমূলের পাল্টা
'অমিত মালব্য আইটি সেল চালাতে ধর্ষকদের ভাড়া করেছেন। কেন চুপ সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা? বিলকিস বানোর
ধর্ষকদেরও সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। ' পুরুলিয়ায় সন্ন্য়াসীদের গণপিটুনির অভিযোগে অমিত মাল্যবকে পাল্টা আক্রমণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর।
আরও পড়ুন : আর কদিন পরেই জীবনের বড় পরীক্ষা, কী ভাবে সামলাবে আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ ?