সুনীত হালদার, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পুজো মিটতে এবার ভোটের ময়দানে নামার তোড়জোড় শুরু করে দিল রাজনৈতিক দলগুলো। তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি তৎপর কংগ্রেস। পুজোর আগে থেকেই রাজ্যে রয়েছেন পশ্চিম বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। পুজোয় জনসংযোগের পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর জোড় দিয়েছেন তিনি। যদিও কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, সাপে কাটা বালককে মৃত ঘোষণা চিকিৎসকের, এরপর 'শিশু বেঁচে আছে' বলে গুজব ছড়াতেই যা হল নদিয়ায় !

Continues below advertisement

ফের কি (পশ্চিমবঙ্গে) কংগ্রেসের শাসন হতে পারে? কংগ্রেস নেতা ও পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর বলেন, আমাদের ইচ্ছাও আছে, আমাদের চেষ্টাও আছে। ঢাকের বাদ্যির পালা শেষ হতেই, এবার ভোটের বাদ্যির পালা! ইতিমধ্য়ে ২৬-এর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক তৃণমূল থেকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। দ্রুততার সঙ্গে প্রত্যেক জেলায় বুথ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে। কিন্তু, প্রশ্ন হল ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কি একা লড়বে? নাকি, অতীতের মতো বামেদের সঙ্গে জোট করবে?

সূত্রের খবর, এনিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত এরাজ্য়ের কংগ্রেস নেতৃত্ব! আপাতত এরাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন এরাজ্য়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। পুজোর সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ব্যারাকপুর থেকে হাওড়া, একাধিক পুজো মণ্ডপে ঘুরে বেরিয়ে জনসংযোগ সেরেছেন।  মধ্য হাওড়ার জাতীয় সেবা দল ক্লাবের পুজো উদ্বোধনও করেছেন! দলের নতুন বক্তাদের তুলে আনতে পুজোর আগে 'ট্যালেন্ট হান্ট' কর্মসূচিও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে দাবি, পুজোর পরই, বিজেপির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর তোলা ভোট চুরির অভিযোগকে সামনে রেখে, রাজ্যজুড়ে জোরদার প্রচারে নামতে চলেছে তারা। কোথাও রাহুল গান্ধীর বক্তব্য শুনিয়ে, কোথাও তাঁর তোলা অভিযোগগুলিকে সামনে রেখে, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও মিটিং-মিছিলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। 

কংগ্রেস নেতা ও পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর বলেন, আমাদের এখন চেষ্টা হল যে সংগঠন মৃতপ্রায় হয়ে গেছিল, সেটাকে গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত সক্রিয় করে তোলা। এখন রাজ্য, জেলা, ব্লক, মণ্ডল এবং বুথ পর্যন্ত আমরা আমাদের সংগঠনকে অক্সিজেন দেওয়া। তবে কংগ্রেসের কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জেতেনি কংগ্রেস। তবে তারপর উপনির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী।

২০২৪-এর লোকসভা ভোটে মালদা দক্ষিণ আসনটি ধরে রাখে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে এরাজ্যে ১২টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে কি কংগ্রেসের আসন সংখ্য়া বাড়বে? সেই উত্তর দেবে সময়।