সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Update) তৃণমূলের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি FIR দায়ের করা হয়েছে। গতকালের গন্ডগোলের ঘটনায় সন্দেশখালি থানার পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি। গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী ঘটেছিল সন্দেশখালিতে?
সন্দেশখালিতে তৃণমূলের ওপর জনরোষের নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের নির্যাতন ও বঞ্চনা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত ২-৩ বছর ধরে চাষের জমি, সেচ খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি বানিয়েছেন সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য ও শেখ শাহজাহানের ডানহাত শিবপ্রসাদ হাজরা এবং সন্দেশখালির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দার। জমির বদলে ক্ষতিপূরণ মেলেনি। এতদিন শেখ শাহজাহানের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি গ্রামবাসীরা। তৃণমূল নেতা বেপাত্তা হতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। শিবপ্রসাদ হাজরার ভেড়ির অফিসে আগুন লাগানোর পাশাপাশি, বন্ধ করে দেওয়া হয় ভেড়ির স্লুইস গেট। উত্তম সর্দারের ভেড়ির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও এবং সন্দেশখালি থানার দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে গতকাল বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় মিছিল করতে যায় তৃণমূল। তাতেই গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। অভিযোগ, মারধরও করা হয় গ্রামবাসীদের। পাল্টা তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গিয়ে তাঁরাই আক্রান্ত হন। মারধর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কী অভিযোগ তৃণমূলের?
শেখ শাহজাহানের গড়ে তৃণমূলের ওপর স্বতঃস্ফূর্ত গণরোষের দায় বিরোধীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। অভিযোগ, আদিবাসীদের জমি দখলের নামে বিজেপি-সিপিএম প্ররোচনা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। গন্ডগোলের পর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সর্দারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী, তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ আহত তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: পাখির চোখ লোকসভা ভোট, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে তৎপর CPM