রাজীব চৌধুরী, রঞ্জিত সাউ ও সমীরণ পাল, মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভের (agitation) জেরে অবশেষে নির্মাণকাজ (construction work) বন্ধ রাখল মুর্শিদাবাদের (murshidabad) ভরতপুর থানার (bharatpur police station) পুলিশ। শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বললেন, 'এসডিপিও দায়িত্ব নিয়েছেন। এই যে জমি, সেটার পরিমাণ কত, তার মাপ হবে। এবং এসডিএলআরও থানাকে চিঠি দেবে। থানা জানাবে। সেই প্রেক্ষিতে উত্তর দেবে। আইনসম্মত থাকলে নির্মাণ হবে, না হলে বন্ধ থাকবে।'


কী ঘটেছিল?
থানা লাগোয়া জমিতেই বেআইনিভাবে নির্মাণকাজ করাচ্ছেন ওসি, শনিবার এই অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে গত সন্ধেয় তুলকালাম বাধে। থানার গেট আটকে চেয়ার পেতে বসে পড়েন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অবশেষে পুলিশের তরফে আশ্বাস পেয়ে শনিবার রাত ১১টার পর বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। থানার অবশ্য দাবি, পাঁচিলের বাইরে তাদের কিছু জমি আছে। কিন্তু তৃণমূলের যুক্তি, যেখানে নির্মাণ হচ্ছে সেটা পুকুর। হুমায়ুন কবীরের যুক্তি, পুকুরে নির্মাণ করা যায় না। ওসি স্রেফ গায়ের জোরে শনিবার দুপুর থেকে ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে ওখানে পাঁচিল দিতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ করেন হুমায়ুন। তার পরই বিক্ষোভ ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'পুলিশ পার্টির হয়ে কাজ করে। গরু পাচার, কয়লা পাচারের টাকা পুলিশই তুলে দিয়ে আসে। আজ পার্টির লোকের সঙ্গে সংঘাত হচ্ছে, কে লুঠবে - কে খাবে। তাই পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া। প্রশাসন বলে রাজ্যে কিছু নেই। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য শনিবারের বিক্ষোভকে ভালভাবে নেয়নি। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাঁওনি সিংহ রায় বলেন, 'একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেটা কাম্য নয়। যাতে আগামী দিনে না হয় সেটা আমরা দেখছি। রাজ্যকেও জানানো হয়েছে। রাজ্যও বিষয়টা দেখছে।'


অন্য সুর অর্জুনের...
এদিকে যে ভরতপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে হুমায়ুন কবীরের মুখে অসন্তোষের কথা, তাঁর প্রশংসা শোনা গিয়েছে দলেরই আর এক নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মুখে। বললেন, 'উনি দক্ষ অফিসার, ভাল অফিসার আমি চিনি। উনি কোনও দলের হয়ে কাজ করেন না।'

আরও পড়ুন:জোর সামগ্রী বের করে ক্লাবের দরজায় তালা, দক্ষিণ দমদমের অশান্তিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর