রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কাটমানি (Cut Money) ফেরতের দাবিতে নির্মাণ সহায়ককে আটকে রেখে বিক্ষোভ (agitation) দেখালেন ঠিকাদাররা (contractors)। ময়নাগুড়ি (moinaguri) মাধবডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নির্মাণ সহায়ক। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। 


যা জানা গেল...  
যে কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ হলেই পঞ্চায়েত সমিতির নির্মাণ সহায়ককে সেই কাজ বাবদ কাটমানি না দিলে উনি বিল পাশ করেন না, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারই প্রতিবাদে এদিন ওই নির্মাণ সহায়ক ভূপালি বিশ্বাসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ঠিকাদাররা। অভিযোগ, মাধবডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকটি ছোট ব্রিজ, কালভার্ট কাজ ও সিসি রোডের নির্মাণ কাজ হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই বিল পাশ করাতে গেলে টাকা চান নির্মাণ সহায়ক, এমনই বলছেন ঠিকাদাররা। বুধবার বিকেলে স্থানীয়-সহ বেশ কিছু ঠিকাদার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান। আটকে রাখা হয় নির্মাণ সহায়ককে।  মিঠুন রায় নামে এক ঠিকাদার যেমন অভিযোগ করেছেন, 'উনি টাকা ছাড়া কিছু বোঝেন না। নির্মাণ সহায়ক বিল পাশ করতে আমার থেকে ৬০ হাজার টাকা  চেয়েছিলেন। আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু উনি বিল পাশ করেননি।  আমি বিষয়টি স্থানীয় তৃণমুল নেতাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু সকলেই পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছেন। তাই আমরা টাকা ফেরত চাইতে এসেছি।'


কী বলছেন অভিযুক্ত?
অভিযোগ অস্বীকার করে ভূপালির দাবি, 'যিনি চিৎকার করছেন, তাঁর নামে কোনও কাজ হয়নি। আর আমি কোনদিনই কারও থেকে ঘুষ নেননি।' এতেই শেষ নয়। নির্মাণ সহায়কের আরও দাবি, যাঁরা গণ্ডগোল করছেন তাঁরা আসলে ওই অফিসে মদ খাচ্ছিলেন। প্রধানকে বিষয়টি তিনি জানিয়েছেনও। এই নিয়ে মাধবডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মীরা রায় বসুনিয়াকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, 'কে কাকে ঘুষ দিয়েছেন, আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। আর অফিসে মদ খাওয়া হয়েছে, এই বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।' তা হলে সত্যি কথা কে বলছেন? কাটমানির অভিযোগই বা কতটা সত্যি? প্রসঙ্গত, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে বহু বার বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। ময়নাগুড়ির ঘটনাতেও কি সেরকম কোনও কিছু রয়েছে? বলবে সময়।   


আরও পড়ুন:'স্থায়ী নয়', নিয়োগপত্র পেয়েও কর্মস্থলে যোগ দিলেন না মালবাজারে হড়পা বানে নিহতের দাদা