রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, জলপাইগুড়ি: জেলায় জেলায় দাপট বাড়ছে ডেঙ্গির (dengue)। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে (jalpaiguri)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (infected) সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন (under treatment) রয়েছেন চারজন। আরও দুজন ভর্তি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি...
গত মঙ্গলবার ধূপগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতলের নিচে বরফ কারখানার জলে ডেঙ্গির জীবাণুবাহক লার্ভার হদিশ মেলে। তিনতলা ওই ভবনের দুজনের শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায়। সে দিনই বরফ কারখানা থেকে লার্ভা সংগ্রহ করেন পুরকর্মীর। তখনই কারখানা বন্ধ করে দেয় পুরসভা। এই মুহূর্তে ধূপগুড়ি পুরসভা এলাকায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মশার লার্ভা মারার কাজ চলছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো ধূপগুড়ি পুর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলেও এই জীবাণুবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ধূপগুড়ি পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা কৃষ্ণদেব রায় আক্রান্ত হয়েছেন। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।
মৃত্যুমিছিল চলছেই...
অন্য দিকে আজ ফের রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার হুগলির উত্তরপাড়ায় স্বপন ঘোষ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রকালীর বাসিন্দা স্বপন ঘোষের জ্বর হয়েছিল । স্থানীয় চিকিৎসককে দেখান তিনি। জ্বর না কমায় গত ৪ নভেম্বর উত্তরপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে ৭ তারিখে কলকাতার সিএমআরআইতে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর গতকাল সন্ধেয় মৃত্যু হয়। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌসুমি বিশ্বাস বলেন, উত্তরপাড়ায় ১৬,১৮,১৯ দিয়ে ডেঙ্গি শুরু হয়েছিল। মাখলায় কিছু ছিল। ১৩ নম্বরে ছিল না। একটা মৃত্যু ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। মানুষকে সচেতন থাকার পাশাপাশি পুরসভার কর্মীরা যখন বাড়িতে যাচ্ছে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। নাহলে ডেঙ্গি রোখা যাবে না। দিনদুয়েক আগেই হাওড়ায় ডেঙ্গি-আক্রান্ত এক ৯ বছরের ছাত্রের মৃত্যু। জ্বর নিয়ে তার আগের দিনই রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সে। এমার্জেন্সিতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, ভোর সাড়ে ৩টেয় মারা যায় কিশোর। নাম মহম্মদ জিশান রেজা। ১০দিন ধরে জ্বর ছিল তার। তবে মৃত্যুমিছিল যে এত সহজে থামবে না, সেটা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল আজ।