রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পাঁচিল (Wall) নির্মাণ (construction) ঘিরে দুই পরিবারের মধ্য়ে বচসা (ruckus) গড়়াল মারামারিতে। সেখান থেকে ইট ছোড়াছুড়ি। অভিযোগ, তাতেই এক মহিলার মৃত্যু (death) হয়েছে। জখম তিন জন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা থানার পুলিন্দার ঘটনা। 


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই পাঁচিল নির্মাণ ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল। আজ সকালে নির্মাণ কাজ শুরু হলে তুঙ্গে ওঠে ঝামেলা। মুহূর্তের মধ্যে তা মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। ঘটনায় জখমদের বেলডাঙা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর নাম সাহিদা বিবি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ৩৩ বছর। পরিস্থিতির মধ্যে এতটাই উত্তেজনা ছিল যে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসাতে হয়েছে। বস্তুত এর আগেও সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মর্মান্তিক ও শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। তবে হালের এমন ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম গত নভেম্বরের একটি ঘটনা। সেবার সম্পত্তি ঘিরে বচসার জেরে ভাইকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল আর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে।


আগেও যা ঘটেছে...
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল অপর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রথমে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মৃত যুবকের নাম সেলিম খান। বয়স ৩০। সেলিম পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি চাঁচল থানার হাজাৎপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়। পরিবারের সদস্য মহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। ইতিমধ্যে সকলেই সেই বিবাদের মীমাংসার জন্য গ্রামে আলোচনার কথা জানায়। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও সকালবেলা কাজে বের হয়েছিলেন সেলিম খান। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশ থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত্রিবেলা থানা থেকে ফোন যায় ওই যুবকের বাড়িতে। পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় তাঁদের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, ছেলের গায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তাকে তার ভাই গনি খান খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন:মাল নদীতে হড়পা বানে বিসর্জনে বিপর্যয়, স্বজনহারার অভিযোগ দায়ের মালবাজার থানায়