দিনহাটা, কোচবিহার: একদিকে, সন্দেশখালি হামলাকাণ্ডে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি। অপরদিকে, সুকান্ত মজুমদারের সফর ঘিরে এবার উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। পুলিশের সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বচসা, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ। আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়ি যাওয়ার পথে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে 'বাধা' পুলিশের বলে অভিযোগ। এরপরেই সোশ্যাল পোস্টে ধিক্কার জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।


সুকান্তর সফর ঘিরে উত্তপ্ত দিনহাটা


এদিন সুকান্ত মজুমদার ফেসবুক পোস্ট করে বলেছেন, কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার দিনহাটাতে আক্রান্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের দেখতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তৃণমূলের জলদাস পুলিশকে ধিক্কার জানাই।' রাস্তায় বসে বিক্ষোভে থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, সম্প্রতি তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের দলের একজন কর্মী। এবং এতটাই আহত হয়েছেন যে তাঁর দাবি, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো। এরপরেই তিনি গোটা ঘটনার জন্য মমতার সরকারকে দায়ি করেন।   


একের পর এক 'হামলা', 'খুন'


একুশের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, বিজেপি একাধিক নেতা-কর্মী প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। কাঁকুরগাছি বিজেপি কার্যকর্তা অভিজিৎ সরকার থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা মানস সাহার মতোও মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। যদিও একুশের ভোটের পর অনেক জল বয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। কলকাতা পুরভোট, একাধিক উপনির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ফের একুশের ছায়া ফিরেছিল তেইশের পঞ্চায়েত ভোটেও। তবে তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে শাসক-বিরোধী দুই তরফেই একাধিক হামলা, 'রাজনৈতিক খুনের' ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। খালি হয়েছে একের পর এক মায়ের কোল। 


আরও পড়ুন, সন্দেশখালি হামলাকাণ্ডের জন্য 'মুখ্যমন্ত্রীকে' দায়ি করলেন শুভেন্দু


প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই লোকসভা ভোট। আর এই ভোটকে ঘিরে একের পর এক ইস্যু ঢাল হয়ে উঠেছে। দেশ তথা রাজ্যে। একদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, অপরদিকে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া।' একদিকে বিরোধী জোটের নিশানায় বারবার ফিরছে গেরুয়া শিবির। আর ঠিক তখনই আবার, মোদির দাবি অনুযায়ী অন্য দৃশ্যপট পশ্চিমবঙ্গে।