শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: আবারও বিতর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।  সাংসদ তহবিলে জমা টাকার চেয়ে ২০ গুণ বেশি অর্থ তিনি বরাদ্দ করেছেন বলে অভিযোগ (Cooch Behar News)। তৃণমূলের অভিযোদ, সাংসদ তহবিলে নামমাত্র টাকা পড়ে রয়েছে যেখানে, চার চেয়ে ২০ গুণ বেশি বরাদ্দ ঘোষণা করে আসলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন নিশীথ। (Nisith Pramanik)


নিশীথের সাংসদ তহবিলের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে এবার তরজা। কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ। তৃণমূলের দাবি, তাঁর সাংসদ তহবিলে ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা রয়েছে। বিজেপি সাংসদ সকলকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। এর পাল্টা, সাংসদকে টাকা খরচে বাধা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই নিয়ে সংঘাত দুই দলের মধ্যে।


কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য নিজের সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন নিশীথ।  ইতিমধ্যেই তিনি সেই সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন জেলাশাসককে। বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপি সাংসদকে নিশানা করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'কোচবিহারের এমপি ল্যাডে এবছরের অবশিষ্ট টাকা রয়েছে ৪ লক্ষ ৬২হাজার। অথচ কোচবিহারের সাংসদ ঘোষণা করলেন ৮০ লক্ষ টাকা দবেন। কী বুঝলেন?'


আরও পড়ুন: Yasser Haidar: বরাবরই বিদ্রোহী, এবার আর ঠেকানো গেল না, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরহাদের জামাই


সংবাদমাধ্যমে অভিজিৎ বলেন, "মন্ত্রী মিথ্যা দাবি করছেন। বার অ্যাসোসিয়েন টাকার কোনও আবেদন করেনি। ৮০ লক্ষ টাকার চিঠি জেলাশাসককরে দিয়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের জমি নেই। টাকা নিয়ে কী হবে? ফান্ডে রয়েছে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার। আর উনি দিলেন "৮১ লক্ষ টাকা! করে? বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন নিশীথ।"


এর পাল্টা নিশীথকে টাকা খরচে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, "তৃণমূল মানেই চোর। এরা সরকারের টাকা সব হাতিয়ে নিয়েছে। সাংসদকে টাকা খরচে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।"


এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে একই সুর ধরা পড়ে পড়ে নিশীথের গলাতেও। তিনি বলেন, "অভিজিৎ দে ভৌমিক কোনও নিয়ম জানেন না। আমার সাংসদ তহবিলে যথেষ্ট টাকা আছে। সেইজন্যই বরাদ্দ করেছি। তৃণমূল উন্নয়ন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।"


যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সাংসদ তহবিলের বেশির টাকাই খরচ হয়ে গেছে। তবে কিছু কাজের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাকি রয়েছে। সেগুলি জমা পড়ে গেলে তহবিলে আরও টাকা আসবে।