নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে যোগ দিলেও নির্বাচনী রাজনীতিতে এখনও নাম লেখাননি প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক ঘটতে পারে তাঁর (Lok Sabha Elections 2024)। এদিক ওদিক নয়, খাস বারাণসী থেকে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন প্রিয়ঙ্কা, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র (Narendra Modi)। প্রিয়ঙ্কা বা কংগ্রেসের তরফে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি, বরং শরিকদল শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে। (Varanasi)


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট I.N.D.I.A. সেই জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে শামিল হয়েছে তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মতো দল। কংগ্রেসের শরিক শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীই বারাণসী নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। 


শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিবসেনার ((উদ্ধব শিবির)) প্রিয়ঙ্কা। বারাণসী থেকে প্রিয়ঙ্কা নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, "I.N.D.I.A জোট লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। কোন আসনে, কাকে প্রার্থী করলে ভাল হয়, আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রিয়ঙ্গা গাঁধী লোকসভা নির্বাচনে যদি বারাণসী থেকে দাঁড়ান, তিনিই জয়ী হবেন।"


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi Bike Ride: দিল্লিতে সুযোগ পান না, লাদাখে আর বাধা মানলেন না রাহুল, বেরিয়ে পড়লেন KTM 390 নিয়ে, স্মরণ বাবাকেও


শিবসেনার (উদ্ধব শিবির) প্রিয়ঙ্কার মতে এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি, সকলেই বুঝতে পারছেন। লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছেন এবার, এটাই ওঁর শেষ ভাষণ। I.N.D.I.A জোট থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ।


শিবসেনার (উদ্ধব শিবির) প্রিয়ঙ্কার কথায়, "মুদ্রাস্ফীতি হোক বা বেকারত্ত, কৃষকদের দুর্দশা হোক বা মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্য়াচার, সব কিছু চরমে। মানুষ সব দেখছেন, অবশ্যই প্রশ্নও করবেন। লালকেল্লা থেকে এই ওদের শেষ ভাষণ। আগামী বছর I.N.D.I.A জোটের প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আসবেন।"


এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি থাকলেও, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। যদিও I.N.D.I.A-কে কার্যতই ধর্তব্যের মধ্যে আনতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, জোটের শরিকদের মধ্যে কোনও মিলই নেই। নিজেদের মধ্যেই বিরোধী রয়েছে। তাই এই জোট কার্যকর হবে না। বিজেপি-র এই দাবিতে সম্প্রতি ইন্ধন জুগিয়েছে NCP-ও। শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ারের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর, NCP এবং BJP-র হাত মেলানোর সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও NCP-র দাবি বিরোধী জোটেই রয়েছে তারা।