শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা (কোচবিহার) : কোচবিহারের দিনহাটায় (Dinhata) প্রতিবেশীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। জমি-দখলে বাধা দেওয়ায় খুন বলে দাবি মৃতের পরিবারের। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তের।


জমি-বিবাদে শ্যুটআউট। খুন প্রতিবেশী। মঙ্গলবার ভরদুপুরে হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটার পূর্ব শিকারপুর গ্রামে। মৃতের নাম মমিনুর ইসলাম। পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে মমিনুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী বাপ্পা সরকারের বিবাদ চলছে। মৃতের বৌদি বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরে মমিনুর ওই জমিতে চাষ করত, বাপ্পার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ।'


মঙ্গলবার জমিতে আল দেওয়ার কাজ শুরু করেন বাপ্পা। মমিনুর এসে বাধা দিলে, তাঁকে লক্ষ্য করে বাপ্পা গুলি চালান বলে অভিযোগ। মৃতের দাদার অভিযোগ, 'ভাই দিনহাটায় ছিল। ফোন করে ডাকি, বলি বাপ্পা জমি দখল করতে এসেছে, প্রথমে মাথায় বন্দুক ধরে। বাপ্পাকে আল কাটতে দেখে ভাই বাধা দেয়, তখন মাথার পিছনে গুলি করে।' ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মমিনুরের। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। 


আরও পড়ুন- পার্থকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় মার খেলেন তৃণমূল নেতা! অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে


কিছুদিন আগেই জমিকে (land) কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ (clash) উত্তর দিনাজপুরের (north dinajpur) চোপড়া থানায় ফাতিয়াবাদ গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন জখমও (injured) হয়েছেন। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, অশান্তির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফাতিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা বসিরউদ্দিন এবং সাব্বির আলম। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, রাস্তার ধারের একটি জমিকে কেন্দ্রে দুজনের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। কিন্তু তার পর হঠাতই উত্তেজনা বেড়ে যায়। তর্কাতর্কি, বচসা আচমকাই সংঘর্ষের চেহারা নেয়। তার মধ্যে পড়ে জখম বেশ কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধার করে চোপড়া দোলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশবাহিনী। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দুই পক্ষই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে।