শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: জলপাইগুড়ির (Jalpaiuri) পর এবার কোচবিহার (Cooch Behar)। ফের লোকালয়ে চিতাবাঘের (Leopard) হানা। আজ সাতসকালে কোচবিহার শহরে হুলস্থুল। কোচবিহারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগানের বাসিন্দা মনোজ সরকারের বাড়িতে চিতাবাঘের দেখা মেলে। তাড়া খেয়ে শৌচাগারে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। ওই বাড়ির সামনে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতয়ালি থানার পুলিশও। নিরাপত্তার কারণে এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বাড়ির চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে খাঁচা। চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করার চেষ্টা করছেন বন দফতরের কর্মীরা।


কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গা বটতলার ভোটঘাটি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের চিতাবাঘের আতঙ্ক নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে।


জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ছোট চা বাগানের মাঝে একটি মৃত বাছুর দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। আগের দিন থেকে ওই বাছুরটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে মাঠে বাছুরটি বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে চা বাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় বাছুরটিকে দেখতে পান ওই চা বাগানের শ্রমিকেরা। 


গ্রামবাসীদের দাবি, মাঝে মধ্যেই গ্রামে ছাগল, হাস, মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুদিন ধরেই এই সমস্যা হচ্ছিল। চিতাবাঘের আতঙ্ক আগে থেকেই ছিল গ্রামে। এরই মধ্যে মৃত বাছুর দেখে সেই আতঙ্কই খানিক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে গ্রামে। অন্যদিকে, শোভাভিটা গ্রামে একটি মৃত ছাগল দেখতে পান গ্রামবাসীরা। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, চিতাবাঘ ছাগল টেনে নিয়ে আসে। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মীরা পৌঁছন। অভিযোগ ওঠে, গ্রামবাসীরা বন বিভাগের কর্মীদের আটকে রেখে দেয়। আতঙ্ক থেকে রেহাই পেতে গ্রামে খাঁচা পাতার দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা।


কিছুদিন আগে একরাতে পর পর দু’বার বন দফতরের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে দেখা যায় একটি বাঘকে। ২৩ বছর পর আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গলে নিজের অস্তিত্বের জানান দেন বাঘমামা।