কোচবিহার: কোচবিহারে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) আহত ২ সিবিআই (CBI) আধিকারিক। জানা গিয়েছে, ২ সিবিআই আধিকারিক ছাড়াও গাড়ির চালক গুরুতর আহত। কোচবিহার-মাথাভাঙা রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনা, আহত ৩। কোচবিহার থেকে মাথাভাঙার দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা। উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে সিবিআই গাড়ির সংঘর্ষ। দুর্ঘটনার পরেই বাজেয়াপ্ত ট্রাক, ফেরার চালক। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) তদন্তে এসেছিলেন ২ সিবিআই আধিকারিক: সূত্র। 


প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে সিবিআই। আর সেই মামলার তদন্তে এসে দুর্ঘটনার মুখোমুখি কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হিংসা চালানো হয় বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। মারধর, খুন, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করে তারা। এমনকি ভয়ে বহু বিজেপি কর্মী বাড়ি ছাড়া বলেও দাবি করে। এর পর মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই-এর হাতে গুরুতর অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দেয় আদালত। 


২০২১-বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিন, ৩ মে কেষ্টপুরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কেষ্টপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়েও তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ ও রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে তলব করে সিবিআই। যে ডাকে তিনি সাড়া দেন।


আরও পড়ুন, বাঙালি নোবেলজয়ীর হাত ধরে বাংলার তাঁত বিশ্বের দরবারে !


২০২১’এর বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিন ৩ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার অন্তর্গত দমদম পার্কের হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী প্রসেনজিত্‍ দাস। এরপর ২৩ মে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের কর্মীরা মারধর করে তাঁকে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযোগের তির ছিল তত্‍কালীন স্থানীয় তৃণমূল ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায়, কেষ্টপুরের বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্তও করেছে CBI। একাধিকবার মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন গোয়েন্দারা। করা হয় ঘটনার পুনর্নির্মাণ।