কোচবিহার:  সিতাইয়ের সভায় মোদি সরকার (Modi Govt) এবং নিশীথ প্রামাণিককে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) প্রশ্ন তুলে বলেন, কী করেছেন কোচবিহারের জন্য?


এদিন তিনি বলেন ‘এখানকার সাংসদ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র ও যুব কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী। কী করেছেন কোচবিহারের জন্য? গত ৯ বছরে কোচবিহারে একটা স্টেডিয়াম বা স্পোর্টস কমপ্লেক্স করেছেন? গত ৯ বছরে রাজনীতির বাইরে মোদি কোচবিহারে একটিও সভা করেছেন? কিন্তু মমতা বারবার কোচবিহার এসেছেন।’ সিতাইয়ের সভা থেকে মোদি সরকারকে নিশানা অভিষেকের।


অপরদিকে, তিনি এদিন বলেন, ' প্রার্থী বেছে নেওয়ার অধিকার আপনাদের। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, অবাধ, গণতান্ত্রিক নির্বাচন। মানুষ যাকে প্রার্থী চাইবেন, তৃণমূল তাকেই জয়ী করে পঞ্চায়েতে নিয়ে আসবে। ৫ বছর দলমত নির্বিশেষে আপনাদের পাশে থাকবে এমন মানুষকে প্রার্থী করবেন। পঞ্চায়েতে প্রধান, উপপ্রধান কে হবেন আপনারা ঠিক করবেন। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পঞ্চায়েত গড়তে চায়। গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে নির্বাচন করুন।'


আরও পড়ুন, UP BOARD 12TH RESULT 2023 | UPMSP INTER RESULT TODAY AT 1:30 PM ON ABP LIVE


Class 10 Class 12  


প্রসঙ্গত, ঘোষণা হওয়া মাত্রই তুলনা শুরু হয়। তা মাথায় রেখেই 'জনসংযোগ যাত্রা'র সূচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে প্রচারাভিযান হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই 'জনসংযোগ যাত্রা'কে। অবধারিত ভাবে তুলনা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র (Bharat Jodo Yatra) সঙ্গে। যদিও অভিষেকের দাবি, তাঁর এই যাত্রা মোটেও 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নয়।


 তবে খাতায়-কলমে এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে 'তৃণমূলে নবজোয়ার'।  এই কর্মসূচির দু'টি অঙ্গ রয়েছে, প্রথমটি হল, জনসংযোগ যাত্রা, এবং দ্বিতীয়টি হল, গ্রাম বাংলার মতামত। তার আওতায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান অভিষেক। 


অভিষেক জানিয়েছেন, রাজ্যের ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে মানুষের মতামত নেবে তৃণমূল। বছরের ১২ মাস, দিনের ২৪ ঘণ্টা মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা পৌঁছে দেবেন যিনি, এমন কাউকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে বলে জানান অভিষেক। তিনি জানান, সাধারণত জেলা নেতৃত্বের তরফে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র এসে পৌঁছয়। তার পর ভাবনা-চিন্তা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করেন নেতৃত্ব। এ ক্ষেত্রে জেলার তরফে সুপারিশপত্র এলেও, মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভারতে এই প্রথম বার গ্রামের মানুষই পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করবেন বলেও জানান অভিষেক।