শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে, জনসংযোগের লক্ষ্য়ে গ্রামে গেছিলেন। সেখানে পার্থ ও অনুব্রতকে (Partha and Anubrata) নিয়ে গ্রামবাসীর অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল, কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে (Rabindranath Ghosh)। অন্য়দিকে, তুফানগঞ্জে খারাপ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন আরেক দিদির দূত।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জনসংযোগের লক্ষ্য়ে গ্রামে গেছিলেন। সেখানে পার্থ ও অনুব্রতকে নিয়ে গ্রামবাসীর অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল, কোচবিহারের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। অন্য়দিকে, তুফানগঞ্জে খারাপ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন আরেক দিদির দূত। কোথাও জনসংযোগে গিয়ে পার্থ-অনুব্রতকে নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল দিদির দূতকে। কোথাও আবার, খারাপ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন দিদির দূত। শুক্রবার সকালে, কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগে যান, তৃণমূল নেতা, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্য়ান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর সামনে, দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে অস্বস্তিকর প্রশ্ন করেন এক গ্রামবাসী। তিনি বলেন, চুরি করে সব টাকা নষ্ট করে দিয়েছে। পার্থ চুরি করেছে। অনুব্রত মণ্ডল চুরি করেছে। কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্য়ান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'আরে কে কোথায় চুরি করেছে, কার টাকা চুরি করেছে, সেটা আলাদা ব্য়াপার। প্রত্য়েক মাসে আপনার টাকাটা পাচ্ছেন কিনা। যে চুরি করবেন, না ঘুষ খাবেন, তার জেল হচ্ছে, সে বুঝুক গে। যে যেরকম কাজ করবে, সে তেমন ফল পাবে।' কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, 'যতই ঘুরুক না কেন, মানুষ ওদের চিনে ফেলেছে।'
আরও পড়ুন, 'অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা পাচার', DRI-র জালে হাওড়ার বাসিন্দা-সহ ৩
অন্য়দিকে, বৃহস্পতিবার, দিনহাটার বামনহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে, খারাপ রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভপতি ও NBSTC-র বর্তমান চেয়ারম্য়ান পার্থপ্রতিম রায়। এরপরেই এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তাটা আছে না, প্রচণ্ড নিচু জায়গা। রাস্তাটা ইমিডিয়েটলি তাড়াতাড়ি যাতে করা যায়, সেই ব্য়বস্থা আপনি করুন। কোচবিহারের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ৩ থেকে ৪টে রাস্তা অল্প সময়ের মধ্যে যদি করতে পারি।এটা আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করব। রাস্তার ওপর বেশি জোর দেব। দিকে দিকে দিদির দূতেদের ঘিরে বিক্ষোভ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, কি বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছে বিরোধীদের?