শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের বিএসএফ-র (BSF) হাতে সীমান্তের এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ কোচবিহারে। কোচবিহারের শীতলকুচি থানা এলাকার বড়মরিচা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Border Area) এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরিবারের দাবি,' জুলাল মিয়া নামে ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করেছে বিএসএফ।'এই নিয়ে শীতলকুচি থানায় বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বিএসএফের তরফ থেকে জুলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে অচৈতন্য অবস্থায় মাথাভাঙ্গা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ওই যুবকের পরনে বিএসএফের পোশাক ছিল। যদি ওই যুবকের পরিবারের দাবি, 'নিরীহ ওই যুবককে মারধর করে মেরে ফেলেছে বিএসএফ।' আজ ঘটনাস্থলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। যদিও বিএসএফের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছিল কৌচবিহারে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। জখম হয়েছিল ২ জন। মৃতদেহ ঘিরে এরপর বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশকে দেহ নিতে বাধা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। শেষমেষ স্থানীয় বিধায়কের আশ্বাসে মৃতদেহ নিয়ে যায় পুলিশে। বিএসএফ-এর অবশ্য দাবি করা হয়েছিল সেবার, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছিলেন জওয়ানরা।
বাইশ সালের অক্টোবারে, নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জে বিএসএফের (BSF) গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। গরু পাচারে বাধা দিতে গেলে জওয়ানদের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় সেবার পাচারকারীরা। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পাচারকারীর। গরু পাচার মামলার তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, ইডি- দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিএসএফ সূত্রে খবর, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিষ্ণুপুর বর্ডারে ১৫-২০ জন দুষ্কৃতী গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করলে, ধারাল অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। শূন্যে গুলি ছোড়েন বিএসএফ জওয়ানরা। তা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা মারধর চালিয়ে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন, 'বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি, তৃণমূল জমানায়..' ? বিস্ফোরক শুভেন্দু
বিএসএফের গুলিতে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়। বাকিরা বাংলাদেশের দিকে পালায়। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, পাচারকারীদের ছক ভেসতে যাওয়ায় তারা জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। আগেও বহুবার জওয়ানরা গুরুতর আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার জন্য ও পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় বিএসএফ। তার জন্য মাঝেমধ্যে পাচারকারীদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়।