শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহারঃ  রাতভর বৃষ্টিতে (Heavy Rain in Cooch Behar) জলমগ্ন কোচবিহার শহর (Rain Water logged in Cooch Behar)। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। এছাড়াও, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমেছে। কোথাও কোথাও বাড়িতেও জল ঢুকেছে। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে কোচবিহার শহরের বাসিন্দারা। জল জমা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


আরও পড়ুন,


 'শুভেন্দুকে স্পর্শ করার সাহস দেখাচ্ছে না সিবিআই', তোপ দেবাংশুর


জমা জলে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসী


সোমবার রাত থেকেই ভারীবৃষ্টিতে জলমগ্ন কোচবিহার শহর (Rain Water logged in Cooch Behar)। বেহাল নিকাশির জন্যই প্রতিবার বর্ষায় জলে ভাসে কোচবিহার শহর, দাবি বিজেপির (BJP)। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকেছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসী। প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমলেও, খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাচ্ছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল (TMC) পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার (Cooch Behar Municipality)।প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরে একের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির জল বেড়ে হড়কা বান হোক, কিংবা 'ম্যান মেড বন্যা'-র মতো বিতর্কিত ইস্যু, সবেতেই ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই এবার আর ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন। ইতিমধ্যেই তাই , লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে বৃষ্টির জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদী। তার উপর ব্যারেজের জল ক্যাটালিস্টের কাজ করছে।


বেড়েছে নদীর জলস্তর


সিকিম ও ভুটান পাহাড়েও অবিরাম বৃষ্টির জের। তিস্তায় গতকয়েকদিনে বারবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে নদীর জলস্তর। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় শহরাঞ্চলে দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। একইভাবে ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সের জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়ায় গত সপ্তাহেই সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।অন্যদিকে, জল বাড়ায় গতকাল তিস্তা পাড়ে বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা যায়। দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।


বাইশে পা দিয়েই একের পর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ


 মূলত বাইশে পা দিয়েই একের পর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই বন্যা বিধ্বস্ত অসম। ক্রমেই বাড়ছে সঙ্কট।  জলের তলায়  চলে গিয়েছে ৩৩ টিরও বেশি জেলা। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উত্তরপূর্বের রাজ্য এখন প্রবল দুর্যোগের মুখোমুখি। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) অনুসারে, শহরের বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল তবে কিছু এলাকায় তা ঠিক করা হয়েছে।  জলের গ্রাসে বহু বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আকাশপথে বন্যা কবলিত শিলচরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।