শুভেন্দু ভট্টাচার্য,কোচবিহার: শীতলকুচির খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, বোনের সম্ভ্রম বাঁচাতে অভিযুক্তকে হত্যা করল দাদা। শীতলকুচিতে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার শীতলকুচির রাজার বাড়ি এলাকায় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত নেমে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খুলে অভিযুক্ত 'দাদা'কে গ্রেফতার করে শীতলকুচি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, বারবার তলবেও বেপাত্তা নূপুর ! বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস কলকাতা পুলিশের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত 'দাদা', যুবক খুনের কথা কবুল করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্তর বাড়ি গিয়ে তার নাবালিকা বোনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এরপরেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ওই নাবালিকার দাদা। প্রসঙ্গত, রাজ্যে হাঁসখালি, শান্তিনিকেতন, গোবরডাঙা, হুগলি, হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় বাইশে সালে পা দিতেই একের পর এক শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ-সহ খুনের অভিযোগ ওঠে। এবং এই বেশিরভাগ ঘটনায় একাধিকবার রাজ্যের শাসকদলের নাম জড়িয়েছে। বিশেষ করে হাঁসখালিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। সরব হয় বিজেপি-সহ শাসকবিরোধী একাধিক দল। শুভেন্দু, দিলীপ-সহ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও তারপরেও হয়ে চলেছে একের পর এক শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ-সহ খুনের ঘটনা। আর তারই মধ্যে এল শীতলকুচিতে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের শীতলকুচিতে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এক যুবক বলে অভিযোগ। এদিকে বোনের উপর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেনি দাদা। এরপরেই বোনের সম্ভ্রম বাঁচাতে অভিযুক্তকে হত্যা করে 'দাদা'। যদিও এই কথা নিজে মুখে স্বীকারও করেছে 'দাদা'। এরপরেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ওই নাবালিকার দাদা। তবে আদতে কী ঘটেছে, এবং অভিযুক্ত দাদা বয়ান আদৌ সত্যি কিনা, সেসব কিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও বোনের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে কিনা পুলিশ, সে তথ্য এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মৃত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। তাই অভিযুক্ত 'দাদা'-র বয়ানকেই মূল ঘটনা বলে ধরে নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নটা থেকেই যায়। তার আগে যাবতীয় প্রমাণ মিলিয়ে নেবে পুলিশ।