শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: শীতলকুচির খুনের (Sitalkuchi Murder Case) ঘটনার পুনর্নিমাণ করল পুলিশ। আজ এই ঘটনার অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুনর্নিমাণ করেন মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভার্মা।


গত ৭ এপ্রিল সকালে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা বিমল কুমার বর্মন, তার স্ত্রী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য নীলিমা বর্মন এবং তাঁদের এক মেয়ে রুনা বর্মনকে। এছাড়াও গুরুতর আহত হয় আর এক মেয়ে ইতি বর্মন। খুদের সময় দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকার মানুষজন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জেরায় বিভূতিভূষণ রায় আগেই খুনের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই তিন জনকে খুন করেছে বলে দাবি তার। সেই মতো আজ ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়, কোথা দিয়ে সে বাড়িতে ঢুকেছিল ? কীভাবে তিনজনকে খুন করল ? সেই ঘটনা পরম্পরা পুলিশকে দেখিয়ে দেয় সে।


 ঘটনার পর স্থানীয় সূত্রে খবর আসে, শীতলকুচির হাসপাতাল পাড়ায়, শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য়, নীলিমা বর্মনের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। পঞ্চায়েত সদস্য়া, তাঁর স্বামী, বিমল কুমার বর্মন ও দুই মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। এই বিমল কুমার বর্মনও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা। শীতলকুচির তৃণমূলের SC সেলের সভাপতি ছিলেন তিনি। এদিকে, হামলার ঘটনায় চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দুষ্কৃতীদের একজনকে ধরেও ফেলে তারা। তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। এদিকে, হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়া, তাঁর স্বামী ও বড় মেয়ে রুণা বর্মণকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


আরও পড়ুন, ২১ সালে পলাতক, তাজা হাওয়ার স্বাদ শেষ তেইশেই ! নববর্ষে গ্রেফতার খুনের দায়ে অভিযুক্ত


নদিয়ার হাঁসখালিতে একইভাবেই দুষ্কৃতীরা খুন করে অপর এক তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader Killed)। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রামে ওই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছিল। বাজারের মধ্যে চায়ের দোকানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আমোদ আলি বিশ্বাসকে। এই ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তবে নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও খুন, বোমাবাজি, অস্ত্র মজুত রাখার একাধিক অভিযোগ ছিল। রাজনৈতিক কারণ, ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি, পুরনো অপরাধ-যোগ, খুনের মোটিভ নিয়ে এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।