কোচবিহার: অস্ত্র-মামলায় (Firearms Case) অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত কোচবিহারের শীতলকুচি থানার পুলিশ (Cooch Behar Sitalkuchi Police Station)। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কর্মীদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।


ফের উত্তেজনা শীতলকুচিতে


গতকাল রাতে অস্ত্র-মামলায় অভিযুক্ত আজিজুল মিঞাকে গ্রেফতার করতে শীতলকুচির পাঠানটুলি গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। তখনই গুলি চলে। এই ঘটনায় ওই দুষ্কৃতী, তার স্ত্রী, মেয়ে-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের সময়, পাঠানটুলি গ্রামেই গুলি চলে। গুলিতে মৃত্যু হয় ভোটের লাইনে দাঁড়ানো প্রথম ভোটার আনন্দ বর্মনের।


 রক্তে ভিজেছিল কোচবিহারের শীতলকুচির মাটি


প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার বিধানসভা ভোটের দিনেই, রক্তে ভিজেছিল কোচবিহারের শীতলকুচির মাটি। ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার পর, এখন কেমন আছে হতভাগ্য পরিবারগুলো ? তারই খোঁজ নিতে গ্রামে গিয়েছিল এবিপি আনন্দ। এলাকায় এখন শহিদ দিবস পালনের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ যায় পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তিনি। শুধু আনন্দ বর্মনই নন। জোড়পাটকি গ্রামে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল মণিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন এই চারজন।  


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


গরু উদ্ধারে গিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ


অপরদিকে, বাইশ সালে গরু উদ্ধারে গিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টির ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার মুহূর্তের সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছিল। ১৭ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। ৩৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছিল৷ গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ জনকে।গতবছর আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। তৃণমূলের ( TMC ) বিবাদ মেটাতে গিয়ে বসিরহাটে ( Basirhat ) গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেবার কনস্টেবল। শাসক-নেতার ছেলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। নেতা সহ ৪১ কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৃণমূলের বিবাদে বসিরহাটে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। ব্লক সভাপতির অপসারণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ।