শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের (Coochbehar Medical College) অব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) নিখিলরঞ্জন দে। তাঁর অভিযোগ, বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ মানতে নারাজ জেলার তৃণমূল সভাপতি ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।


হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে সরব বিজেপি বিধায়ক: পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে জেলার বাইরে যেতে হচ্ছে। কোচবিহার MJN মেডিক্যাল কলেজকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার (West Bengal)। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের (Coochbehar Medical College)  অব্যবস্থা নিয়ে এভাবেই সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। পাশাপাশি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কের অভিযোগ, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ডাকা হয় না কোনও বৈঠকে।


কোচবিহার দক্ষিণের (Coochbehar South) বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বিধানসভাতেও (West Bengal Assembly) বিষয়টা তুলেছি। ডাক্তার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সরব, রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে ডাকা হয় না।’’ সূত্রের খবর, বর্তমানে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাত্র ১৫ জন চিকিত্সক। ১২ জুলাই, রাজ্যের তরফে আরও ২৭ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা এখন কাজে যোগ না দেওয়ায় আগের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।


যদিও, বিজেপি বিধায়কের বঞ্চনার অভিযোগকে মানতে নারাজ জেলার তৃণমূল সভাপতি ও হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।  কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওনাকে ডাকা হয়। ব্যস্ত থাকেন, আসেননা। দারুণ পরিষেবা দিচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ।’’ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কোচবিহার MJN হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করে রাজ্য সরকার। তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর ১ বছর পেরোলেও পিছু ছাড়ছে না পুরনো অভিযোগ।


আরও পড়ুন: Hooghly Crematorium: দ্বিগুণেরও বেশি টাকায় শ্মশানেও তৎকাল পরিষেবা! পুরসভার সিদ্ধান্তে উঠছে প্রশ্ন