শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) পরাজিত না হলে আমিষ ছোঁবেন না বলে পণ করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দু'সপ্তাহের মাথায় সেই পণ ভাঙলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোচবিহার পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh)। রীতিমতো ঘটা করে মাছ-মাংস খেলেন তিনি। তাঁকে মৎস্যমুখ করালেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। (Cooch Behar News) তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের জন্যও মহাভোজের বন্দোবস্ত করলেন।
লোকসভা নির্বাচনে এবারে কোচবিহারে তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছেন নিশীথ। নিশীথ পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত মাছ-মাংস ছোঁবেন না বলে গত ১৩ মার্চ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই নিশীথের হারের পর রবিবার রীতিমতো ঘটা করে রবীন্দ্রনাথকে মাছ-মাংস খাওয়ান রাজ্য়ের মন্ত্রী উদয়ন গুহ, কোচবিহারের নব নির্বাচিত সাংসদ জগদীশ। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও। সকলে মিলে রবীন্দ্রনাথকে আমিষ ভক্ষণ করান।
মৎস্যমুখ করে এদিন এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ ধন্য প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়া। কোচবিহারের মদনমোহন ঠাকুর বাড়িতে যখন পুজো দিতে গিয়েছিলাম, ঠাকুরের সামনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, জগদীশকে জেতানোর পরই আমিষ খাব। যত দিন জেতাতে না পারি, তত দিন মাছ-মাংস ছোঁব না।"
আরও পড়ুন: Siliguri Drinking Water Crisis: পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে, সমাধানের আশ্বাস গৌতম দেবের
রবীন্দ্রনাথ আরও বলেন, "ভেবেই নিয়েছিলাম, কোনও কারণে যদি জেতাতে না পারি, তাহলে সারাজীবন মাছ-মাংস খাব না। আজ পর্যন্ত সেই প্রতিজ্ঞা ধরে রেখেছিলাম। আজ জেলাস্তরের সমস্ত কর্মী-নেতারা এসেছিলেন। তাঁদের সামনে, নেতৃত্বের হাতে মাছ গ্রহণ করলাম। এখন থেকে আমিষ খাব আমি। আজকের অনুষ্ঠানের নামই ছিল 'তুমিও খাবে, আমিও খাব'। সকলকে মাছ খাওয়ানো হয়েছে।" আজকের মেনুতে পোলাও, মুরগির মাংস কাতলা মাছের পদ ছিল বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
এর আগে প্রতিজ্ঞা করার সময় হত ১৩ মার্চ রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "আমি নিরামিষ খাচ্ছি। লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত নিরামিষ খাব। নিশীথকে হারিয়ে তার পর মৎস্যমুখ করব। তার আগে আমিষ খাব না আমি। নিজে থেকে এই প্রতিজ্ঞা নিয়েছি আমি।" ঘটা করে রবীন্দ্রনাথের এই মৎস্যমুখ নিয়ে যদিও কোনও মন্তব্য করেনি বিজেপি। কোচবিহারে হারের জন্য ইভিএম-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন নিশীথ। তিনি আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন।