কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর ধন্যবাদজ্ঞাপন কর্মসূচিতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন ফিরহাদ হাকিম। রবিবার চেতলা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপক কার্ড তুলে দেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। কার্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের ছবি থাকলেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই। যদিও সেই নিয়ে দ্বন্দ্বের তত্ত্ব উড়িয়ে দেন ফিরহাদ। (Firhad Hakim)


এ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা কার্যত ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে থেকে ৩০ আসন পারের কথা বার বার বিজেপি বললেও, অভিষেক জানিয়েছিলেন, একটি হলেও বিজেপি-র থেকে বেশি আসন পাবে তৃণমূল। বিজেপি-র থেকে শুধু বেশি আসনই পায়নি তৃণমূল, ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২টি আসন। (Kolkata News)


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই জয় উদযাপনেই রবিবার ধন্যবাদজ্ঞাপন কর্মসূচিতে বেরোন ফিরহাদ। চেতলা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান। 'বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন দেওয়ার' জন্য, তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য হাতে হাতে তুলে দেন ধন্যবাদজ্ঞাপনের কার্ডও। স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিবাদন জানান তাঁকে। 


আরও পড়ুন: Asansol Water Crisis: তৃণমূল লিড না পাওয়ায় আসানসোলে জল বন্ধের অভিযোগ, পথ অবরোধ কুলটির বিজেপি বিধায়কের


তবে লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও ভোট পরবর্তী অশান্তির খবর উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একটি কমিটিও গড়েছেন, যারা বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছুটে আসছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে ফিরহাদ বলেন, "ভোটের পর হিংসায় তৃণমূল কর্মী মারা গিয়েছেন। বিজেপি-র কে, কোথায় মারা গিয়েছেন? কিছু জায়গায় অশান্তি হতে পারে, সে সারাবছর চলে। আমরা হিংসায় বিশ্বাস করি না। ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সন্ত্রাসের মাস্টার। ত্রিপুরায় বিরোধীদের মনোনয়নই দিতে দেয় না বিজেপি। এখানে বিপ্লবকে পাঠিয়ে নতুন নাটক করছে ওরা। কিছু লাভ হবে না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন এবং থাকবেন। দু'চারটে আসন যা পেয়েছে ওরা, বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি।"


এর পাশাপাশি, শহর কলকাতা এবং আশেপাশে পর পর যে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটছে, সেই নিয়েও এদিন প্রতিক্রিয়া জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, "বিহারের জেলে গুন্ডা বসে রয়েছে। তার লোক এসে টাকা তুলছে। সোনার দোকান লুঠ হচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড দিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমানা বন্ধ করতে বলেছেন। আমরা বাংলা বিরোধীদের ডাকাতিও করতে দেব না, সন্ত্রাসও করতে দেব না।"