শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ:  আদালতের পরোয়ানা জারির পর সোনার দোকানে চুরি মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে (Nisith Pramanik) দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি। কোচবিহারের (Cooch Behar News) তুফানগঞ্জে (Tufanganj News) তৃণমূলের (TMC) মিছিল। চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান তুলে জেলাজুড়ে প্রচার। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে ফ্লেক্স। যদিও এ সবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (BJP)।


নিশীথের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামল তৃণমূল


কোচবিহার শহরে রাসমেলার মাঠেও নিশীথ-বিরোধী পোস্টার দেখা যায়। তুফানগঞ্জে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। তৃণমূলের দাবিকে যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, "আমাদের লজ্জা যে সোনার দোকানে চুরির মামলায় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আদালতের পরোয়ানার তোয়াক্কা না করে, আদালতে হাজির না হয়ে, মন্ত্রী দিল্লি, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে।"


সাংসদ হওয়ার পর কোচবিহারে নিশীথের দেখাও মেলে না বলে দাবি করেন অভিজিৎ। তাঁর বক্তব্য, মন্ত্রীকে সচরাচর দেখাই যায় না। সাংসদ হওয়ার পর তাঁর দেখাই পান না কোচবিহারের মানুষ জন। তার জন্যই রাসমেলার মাঠে তাঁর ছবি লাগিয়ে দিয়েছি, যাতে মানুষ দেখতে পারেন আমাদের সাংসদকে।"


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal : রাজ্যজুড়ে লালবাতি, নীলবাতি লাগানো গাড়ির ব্যবহার কেন? অনুব্রত মামলায় প্রশ্ন কোর্টের


তবে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নিশীথ। তাঁর বক্তব্য, রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের মামলা, মিথ্যে মামলা হয়। যারা বিভিন্ন কথা বলছে, "তাদের নামেও নানা মামলা রয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে এমন মিথ্যে মামলা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এটা রাজনীতির একটা খারাপ দিক। সকলকে আইন মেনে চলতে হবে। প্রত্যেকেরই সম্মান করা উচিত আইনকে। আমি নিজেও করি।"


২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দু'টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। তাতে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম ওঠে নিশীথের। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ২০০৯ সালে নিশীথ সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বারাসাতের বিধায়ক ও সাংসদদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।


সোনার দোকানে চুরির মামলায় নিশীথের নামে পরোয়ানা জারি করে আদালত


পরে নিশীথের অনুরোধেই আবার মামলাটি আলিপুরদুয়ারে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি সেখানে মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেখানে নিশীথের কোনও আইনজীবী আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিল না। এর পর জুডিশিয়াল থার্ড কোর্ট নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তার পর থেকেই নিশীথের গ্রেফতারির দাবিতে সরব তৃণমূল।