শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ (কোচবিহার) : কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জে (Tufangung) যুব তৃণমূল নেতার (TMC) বাড়ির সামনে বোমাবাজি। INTTUC-র অঞ্চল সভাপতির বাড়িতেও বোমাবাজির (bombing) অভিযোগ উঠেছে। দু’টি ঘটনাতেই দলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, কোনও মন্তব্য করেননি অভিযুক্ত নেতা। আর এই ইস্যুতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)।


রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন, আর তার জেরে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঠিক এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের যুব ও শ্রমিক নেতার বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগে তেতে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জের চিলাখানা এলাকা।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব রায়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বোমার টুকরো ও সুতলি উদ্ধার করে পুলিশ। কোচবিহারের চিলাখানা ২ অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব রায় বলেছেন, 'ইটভাটায় ফের মাটি নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে, আমি দলের অঞ্চল সভাপতিকে বলছিলাম সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে, উনি একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, হতে পারে প্রতিবাদ করায় বোমাবাজি।'


বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় একই সময়ে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের INTTUC-র সভাপতি আশানুল হকের বাড়ির সামনেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারের চিলাখানা ২ অঞ্চলের আইএনটিটিইউসি সভাপতি আশানুল হক বলেছেন, 'অঞ্চল সভাপতিকে বলেছিলাম সবার সঙ্গে কথা বলে কাজ ঠিক করা হবে, তা না করে অঞ্চল সভাপতি একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রতিবাদ করাতেই হয়তো হামলা।'


এই বিষয়ে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতিকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির বক্তব্য কাটমানি নিয়ে বিবাদের জের। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। জোড়া বোমাবাজির অভিযোগ ওঠার পরে চিলাখানা ২ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। দেউচড়াই বাজারেও টহল দেয় পুলিশ। 


আরও পড়ুন- নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা, প্রথমদিনে কোন জেলায় উদ্ধার কত অস্ত্র-বোমা ?