শুভেন্দু ভট্টাচার্য , দিনহাটা, কোচবিহার: কদিন পরপরই অশান্ত দিনহাটা (dinhata)। পুরো কোচবিহার জুড়েই প্রায়শই নানা কারণে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। ফের একই ছবি দিনহাটায়। দিনহাটার ছোট ফলিমারি এলাকায় চলল বোমবাজি। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ওকড়াবাড়ি। সেখানেই রয়েছে ছোট ফলিমারি। রাতভর বোমাবাজিতে আতঙ্ক গোটা এলাকায়।


গভীর রাতে ছোট ফলিমারি এলাকায় নুর ইসলাম মিঁয়ার বাড়িতে একদন দুষ্কৃতী বোমাবাজি (bombing) করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু কী কারণে হঠাৎ এই তাণ্ডব, তা বলতে পারছেন না স্থানীয় কেউ। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই একদল দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশে। এই ঘটনার পিছনে পুরনো কোনও বিবাদ রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


রাজনৈতিক কারণে বারবার সংঘর্ষ, মারপিটের সাক্ষী থাকে কোচবিহারে বিভিন্ন প্রান্ত। তার সঙ্গেই বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনাও ঘটে এই জেলায় (district)। 


সম্প্রতি পুরভোট হয়েছে এই জেলায়। তার আগেও বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি, বোমা উদ্ধারের মতো ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। জানুয়ারিতেই কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রচুর তাজা বোমা (bomb) উদ্ধার হয়েছিল। মাথাভাঙার পচাগড়ে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে ৯টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেই পড়েছিল আরও তিন বস্তা ভর্তি তাজা বোমা। পরে বোমাগুলি উদ্ধার করে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।  এরকমই নানা জায়গায় ঘটেছে। এর সঙ্গেই গতবছরেও কোচবিহারে জিরানপুরে বোমার আঘাতে জখম হয়েছিলেন কয়েকজন। 


বারবার বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে জেলার বাসিন্দারা। কেন বারবার এই ঘটনা ঘটছে? কীভাবে দুষ্কৃতীদের হাতে আসছে অস্ত্র-বোমা (bomb)? গোটা বিষয়ে পুলিশকেই (police) কাঠগড়ায় তুলছেন বাসিন্দারা। কোচবিহার সীমান্তবর্তী জেলা। ফলে সেখানে আরও কড়া নিরাপত্তার (security) প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন জেলার বিশিষ্টজনরা।


আরও পড়ুন: ইছাপুরে ফাঁকা বাড়িতে চুরি, লোপাট বহুমূল্যের গয়না