শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নাম না করে, একদা ঘনিষ্ঠকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন দিনহাটার (Dinhata) তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha), সম্প্রতি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। যদিও এদিন এ জন্য এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। যাঁর উদ্দেশে এমন মন্তব্য সেই বিজেপি নেতা (BJP Leader), এই ইস্যুতে পাল্টা তোপ দেগেছেন।


ঠিক কী বলেছিলেন উদয়ন: মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, এখানকার সুধী নাগরিকবৃন্দ সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি রাজনৈতিক স্বার্থে, দলের কথা চিন্তা করে, একজন সমাজবিরোধীকে এই এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়াতে সহায়তা করেছিলাম। এটা আমার অন্যায় হয়েছিল। আমি আর ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করব না।


নাম না করে যাঁর উদ্দেশে এমন মন্তব্য করছেন কোচবিহারের দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, তিনি বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষ। একসময় যিনি, তৃণমূল বিধায়কের ছায়াসঙ্গী ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে খবর, গতবছর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে দু’জনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তৃণমূলে থাকাকালীন একাধিকবার সোশাল মিডিয়ায় উদয়নের বিরুদ্ধে সরব হন জয়দীপ। 


আরও পড়ুন: Pashchim Medinipur: সরকারি ঘোষণার পরও হয়নি বদলি, অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত ৪০ শিক্ষক-শিক্ষিকার


ম্পর্কের অবনতি: পুরভোটের পর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। গত ৩ মে, বিজেপিতে যোগ দেন দিনহাটা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ ঘোষ। এরপরই রবিবার ১ নম্বর ওয়ার্ডেই দলের কর্মিসভায় নাম না করে জয়দীপকে আক্রমণ করেন উদয়ন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতাও।
 
বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষের কথায়, আগে নিজের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাক, উনি যা করেছেন, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাক, উনিই স্বীকার করেছেন রাজনৈতিক স্বার্থে সমাজবিরোধীকে প্রশ্রয় করেন, উনিই সবচেয়ে বড় সমাজবিরোধী।


কোচবিহারের বিজেপির সহ সভাপতি সঞ্জয় চক্রবর্তীর দাবি, যতদিন ডানহাত ছিলেন ততদিন ভাল ছিলেন, এখন বিজেপিতে এসেছে বলে সমাজবিরোধী। এদিকে, শুধু দলত্যাগীকে তোপ দাগাই নয়, তৃণমূল কর্মীদেরও কড়া বার্তা দেন দিনহাটার বিধায়ক।


উদয়ন গুহর কথায়, যদি মনে করেন যে, একজন সরে গেছে, আপনি জায়গাটা ফাঁকা পেয়েছেন, এবার আপনার কাজ জমি মালিকের কাছ থেকে টাকা তোলা, যেদিন জানতে পারব, সেদিনই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে আপনাকে দল থেকে বের করে দেব। সব মিলিয়ে উদয়নের নতুন মন্তব্যে ফের দানা বেধেছে বিতর্ক।