শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে অচল রাজ্যের যানবাহন ব্যবস্থা। এবার অসম-বাংলা সীমান্তে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো দুই রাজ্যের বাস মালিক সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, অসমের ধুবরি জেলা থেকে কোচবিহার রুটে বাস চলাচলের অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। 


জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন বাস মালিক-সহ কর্মচারীরা। এমনকি রোজগারের অভাবে সংসার চালাতে বাস সংগঠনের মালিক এবং কর্মচারীদের ভিক্ষা করতেও দেখা গিয়েছে। এবার অসমের ধুবরি জেলা থেকে তোচবিহার রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের অনুমতির দাবিতে দফায় দফায় অসম-বাংলা সীমান্তে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো দুই রাজ্যের বাস মালিক সংগঠন। দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধের ফলে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানা যাচ্ছে। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে এলাকায় আসেন দুই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। 


বাসমালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাস চলাচল। বুধবার অসম সরকারের নির্দেশে আন্তঃ জেলায় যাত্রীবাহী বাস চলাচলের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অসমের ধুবরি জেলা থেকে কোচবিহার রুটে বাস চলাচল নিয়ে টালবাহানা করছে দুই রাজ্যের প্রশাসন। বারবার তাদের জানানোর পরও কোনও সুরাহা হয়নি। ট্রেন, বিমান এবং অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ না থাকলেও বাস চলাচলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের আপত্তি কোথায়? এমনই প্রশ্ন উঠছে বাস মালিক গংগঠনের পক্ষ থেকে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাস মালিকরা নিয়ম করে সরকারকে রোড ট্যাক্স, বিমার টাকা সবই দিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে বাস চলাচলে কেন এমন অনীহা দেখাচ্ছে দুই রাজ্যের প্রাশাসন। 


প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্য, দেশে-তথা গোটা বিশ্বের মানুষের। রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউ যেতে না যেতেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। স্কুল, কলেজ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। রোজগারের ঘাটতিতে টান পড়ছে পেটেও।