শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের ভোটে অপসারিত হলেন কোচবিহারের বড়শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। নির্দেশ না মানায় বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফের জানিয়েছেন জেলা সভাপতি।


জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা: জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ উড়িয়েই অনাস্থা। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের ভোটে অপসারিত হলেন পঞ্চায়েত প্রধান। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারের দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের বড়শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ১৪ সদস্যের পঞ্চায়েতে মঙ্গলবার তলবি সভায় প্রধানের বিরুদ্ধে পড়ে ৮টি ভোট।পক্ষে একটিও ভোট না পড়ায়, প্রধান পদ থেকে অপসারিত হন বিউটি বর্মন রায়। যাতে কোনও অবস্থাতেই তলবি সভা না হয়, সেজন্য সোমবারই কড়া বার্তা দিয়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তা সত্ত্বেও এদিন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। যা নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি।


হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতির: জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমি সব শুনেছি, যাঁরা অনাস্থা এনেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সঞ্জয় বর্মনের সঙ্গে কথা বলব।’’ বিক্ষুব্ধদের ভোটে অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান। ফের হুঁশিয়ারি কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতির। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য নগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “এর আগে জেলা নেতৃত্বকে প্রধানের দুর্নীতি নিয়ে বহুবার বলা হয়েছে, কিন্তু পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এজন্য বাধ্য হয়ে অনাস্থা আনা হয়।’’


এদিকে, তলবি সভার আগে আক্রান্ত হন দিনহাটার ১-এর ক-ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় বর্মন। পঞ্চায়েত অফিসে আসার পথে হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতে। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ বলেন, “জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে ব্লক সভাপতি যখন তলবি সভা আটকাতে আসছিলেন, সেই সময় তাঁকে মারধর করা হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুষ্কৃতীদের কাজ।’’ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে ডামাডোল তৈরি হওয়ায়, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সঞ্জয় চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সর্বত্রই তৃণমূলের অন্দরে এই খেলা চলছে। জেলা নেতৃত্বের কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’


আরও পড়ুন: Bankura News: মিছিল ঘিরে তুলকালাম, বামকর্মী-পুলিশ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার বাঁকুড়া