শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: রাজনীতির ময়দানে তাঁরা যুযুধান। বাগযুদ্ধে এ বলে আমায় দ্যাখ, তো ও বলে আমায়। কেউ কাউকে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড়েন না। এবার একই দিনে নিজেরা খরচ করে বিয়ে দিলেন দুই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বর-কনেকে। বিয়ের ধুমধামও ছিল চোখে পড়ার মতোই। এদিক থেকেও কেউ কোনও দিক থেকে পিছিয়ে রইলেন না। উদয়ন গুহ এবং নিশীথ প্রামানিক। খরচ করে চারহাত এক করে দিলেন আর্থিকভাবে অসুবিধেয় থাকা এক জোড়া বর-কনের। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে প্রত্যেকেই। শুধুমাত্র বক্তৃতা  নয়, মানুষের সাহায্যে রাজনীতিকরা যদি সবসময় এভাবে এগিয়ে আসেন তবেই তো তারা আসল জনপ্রতিনিধি, বলছেন এলাকার মানুষরাই। 


দিনহাটার বিধায়ক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর উদ্যোগে এদিন বিয়ে হয় দিনহাটা ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গোপাল দাসের পালিতা কন্যা লক্ষ্মী দাসের।  কলকাতায় থাকায় মন্ত্রী নিজে  উপস্থিত না থাকতে পারলেও,  ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্ব। তাদের উপস্থিতিতে সুসম্পন্ন হয় লক্ষ্মীর বিয়ে। বিয়ের আয়োজন এর পুরো দায়িত্বই ছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর টিমের উপর। এদিন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নবদম্পতি কে আশীর্বাদ করেন দিনহাটা দু নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন " মাননীয় মন্ত্রী এর আগে অনেককে অনেক সাহায্য করেছেন, লক্ষ্মী দাসের কথা যখন আমরা তাঁকে বলি, তখন তিনি তাঁর বিয়ের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার কথা জানান।  লক্ষ্মী দাসের বাবা অত্যন্ত দরিদ্র। মেয়ের বিয়ে নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে"


অন্যদিকে, কোচবিহার শহর সংলগ্ন গুড়িয়াহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গণেশ বর্মনের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা বর্মনের দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সোমবার নিজে উপস্থিত থেকে নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করেন তিনি । নিশিথ প্রামাণিক বলেন "এর আগেও আমরা অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, ভবিষ্যতেও দাঁড়াতে চাই যদি এরকম কোনও দুঃস্থ কন্যা থাকে, তবে আমরা তাঁকে অবশ্যই সাহায্য করব, কোন ধর্ম বর্ণ বা রাজনীতি পরিচয় এখানে মুখ্য নয়। ' তিনি আরও বলেন আমার কাছে যখন সাহায্যের জন্য আবেদন জানানো হয় সেই মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত নিই এই বিয়ের সব দায়িত্ব নেব, ভালো লাগছে ওদের সাহায্য করতে পেরে"।  


আরও পড়ুন :


হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার আগেই সৌরভের মাকে দেখে এলেন মিঠুন