শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন দিনহাটার তৃণমূল নেতা। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় দিনহাটা দু নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতির মন্তব্য়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারওর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।


হুঁশিয়ারি দিনহাটার তৃণমূল নেতার: রবিবার কোচবিহারের দিনহাটার সুকারুর কুঠি অঞ্চলে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করল তৃণমূল। সেখানেই হুঁশিয়ারি দেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন,  "যারা এত কিছু পাওয়ার পরেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, আমাদের সেখানে অন্ততপক্ষে কিছু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমাদের কেটে দেওয়ার দরকার আছে। এই টাকাটা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দিচ্ছে, রাজ্য় সরকার দিচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস, মমতাদির সরকার দিচ্ছে। এটা নরেন্দ্র মোদির বাবার টাকা নয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের টাকা। এই কথাটা আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। + প্রত্য়েকটা অঞ্চলে অঞ্চলে অনন্তপক্ষে মানুষকে একটু জানানো দরকার।''                  


লোকসভা ভোটের ফলাফলে সুকারুর কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সীমান্তবর্তী এলাকা বসপোটালে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে সুকারুর কুঠিতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের রাজনীতিতে হুঁশিয়ারি-বিতর্ক নতুন নয়। কয়েক দিন আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর গলায়। তিনি বলেছিলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যাপারে আমাদের হাতে অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিদের হাতে কিছুমাত্র ক্ষমতা দেওয়া হোক। যাতে আমরা বেছে, অন্ততপক্ষে এটা বাছতে পারি যে কার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রয়োজন আছে, কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এই কথা বলেন যে কার বাবার টাকা দিচ্ছে, তাদের একবার দেখিয়ে দিতে চাই কার বাবার টাকা দিচ্ছে সরকার।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Migrant Worker Death: ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু, ফিরল পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ