শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারে (Coochbehar) তৃণমূল নেতারা (TMC leaders) বিজেপির (BJP) বিক্ষুব্ধদের বাড়িতে হাজির হওয়ার তিনদিনের মাথায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লার দাবি, পুরভোটে কোচবিহারে ভাল ফল করবে বিজেপি। তৃণমূলের কটাক্ষ, দলের কোন্দলে প্রার্থীই দিতে পারবে না গেরুয়া শিবির।


কখনও বিক্ষুব্ধদের পিকনিক। কখনও দলীয় বিধায়কের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশস্তি। চপ ভেজে কর্মসংস্থানের পক্ষে সওয়াল! কখনও আবার তারকা সদস্যের দলত্যাগ। পুরভোটের আবহে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির অন্দরে যখন ছন্নছাড়া ছবি। তখন ভোটের আগে ঘর গুছোতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতে দেখা গেল উত্তরবঙ্গের দুই শীর্ষ বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লাকে।  


বিধানসভা ভোটে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও কোচবিহারে ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, তারপরেও এই জেলায় বেশ কিছু সংখ্যক বিজেপি কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। আর সেই সব বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীর সমর্থন পেতে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। বৃহস্পতিবারই কোচবিহার শহরে দেখা গিয়েছে সেই ছবি। 


আরও পড়ুন ; পুরভোটের আগে তুঙ্গে তৎপরতা, কোচবিহারে বিজেপি-‘বিক্ষুব্ধ’দের পাশে তৃণমূল


তৃণমূলের ওই তৎপরতার ৩ দিনের মাথায়, রবিবার প্রথমে মাথাভাঙায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাস চলছে। এর আগেও সন্ত্রাস উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছে। তার নজির রয়েছে। আমরা মাথাভাঙা পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই জয়ী হব।


সোমবার তুফানগঞ্জে দলীয় বিধায়ক ও কর্মীদের সঙ্গে পুরভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাও ছিলেন এদিনের বৈঠকে। তিনি বলেন,
২০১৯ এবং বিধানসভা ভোটে আমাদের পাশে মানুষ ছিল তুফানগঞ্জে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারলে প্রতি ওয়ার্ডেই আমরা জয়ী হব। এটা নিশ্চিত।


কোচবিহারে বিজেপির রণকৌশল বৈঠক। এপ্রসঙ্গে কোচবিহার তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুর পিকনিক করে বেড়াচ্ছেন। আগে নিজের ঘর সামলান। তারপর নির্বাচন নিয়ে ভাববেন। কোচবিহারের ৬টি পুরসভাতেই তৃণমূল জয়ী হবে। বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে না। ৪ পুরসভায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই হবে।


সোমবার তুফানগঞ্জে মহকুমা হাসপাতাল ও ক্রীড়া সংস্থার মাঠ পরিদর্শন করে তার উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।