শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সখী পরিবেষ্টিত দেবী এখানে রক্তবর্ণা। কোচবিহারের ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো আজও বয়ে নিয়ে চলেছে ঐতিহ্য। রাজা নেই। নেই রাজত্বও। তারপরও কোচবিহারের প্রায় ৫০০ বছরের এই পুজো আজও ব্যতিক্রমী। 


দুর্গা এখানে বড়দেবী। শোনা যায়, কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণের আমলে এই পুজোর শুরু। সে সময় রাজবাড়িতেই পুজিত হতেন বড়দেবী। পরবর্তীকালে রাজবাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে তৈরি হয় দেবীবাড়ি মন্দির। মা এখানে রক্তবর্ণা, অসুর সবুজ। অন্য সব জায়গায় যেমন সপরিবারে মা’কে দেখা যায়, এখানে ছবিটা অনেকটাই আলাদা। মায়ের সঙ্গে থাকেন দুই সখী, জয়া ও বিজয়া। 


এখানে সিংহ ছাড়াও দেবীর বাহন চিতাবাঘ।  চতুর্থীতেই এখানে শুরু হয়ে গেছে পুজো। দর্শনার্থী মধুমিতা ভট্টাচার্য বলছেন, ৪০ বছর ধরে এখানে আসি। এখানে না এলে মনে হয় পুজো দেখা হল না। ঐতিহ্য আছে। 


রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলছেন, গুপ্তপুজো, এখনও রক্ত লাগে, একটি পরিবার রক্ত দেয়, বলি হয়। 
এ পুজোর পরতে পরতে চমক। ময়না গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি হয় দেবী মূর্তির কাঠামো। কোচবিহারের বড়দেবীর পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দেবোত্তর ট্রাস্ট। ওই ট্রাস্ট পর্যটন দফতরের অধীনে। তাই এই পুজোর যাবতীয় খরচ মেটায় রাজ্য সরকার। প্রতিবছরই উৎসাহ থাকে, কোভিড পরিস্থিতি পুজো হচ্ছে। নিয়ম মেনেই পুজো হচ্ছে।