শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল। দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করলেন, তুফানগঞ্জের যুব নেতা। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই কমিটিতে রদবদল হবে। জানালেন জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই শেষ হবে তৃণমূল। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে কোচবিহারের দিনহাটায়।তার আগেই ফের তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এল ওই জেলায়। দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা করলেন, তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল যুব সাধারণ সম্পাদক ধনো বর্মন। কয়েক দিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।এবার উচ্চ নেতৃত্বকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন তিনি।


তুফানগঞ্জের পদত্যাগী যুব তৃণমূল নেতা ধনো বর্মন বলেছেন, তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের যুব সভাপতি মানিক বর্মন নিজেই একটি গোষ্ঠী ও নানান রকম ভ্রষ্টাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। দলের গোষ্টীবাজি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে প্রাণ হারাতে হচ্ছে অনেক নিরীহ তৃণমূল কর্মীদের, এমনকি একাধিকবার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা লিখিত আকারে দলের নেতৃবৃন্দকে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


যদিও জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল কমিটিতে রদবদল হওয়ার কথা। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই নতুন কমিটি তৈরি হবে।কোচবিহার যুব তৃণমূলের সভাপতি কমলেশ অধিকারী বলেছেন, দল আমাকে যখন রাজ্য থেকে দায়িত্ব দিয়েছে তখন থেকেই বিভিন্ন অঞ্চলে কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল না । আগামী দিনে জেলাস্তর থেকে নির্দেশিকা আসার পরে কে দায়িত্ব পায় তাঁকে নিয়ে আমাকে কাজ করতে হবে।  তবে কে এগুলো করছে সেই বিষয়টি আমার জানা নেই । তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।


তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য পঙ্কজ বুচ্চা বলেচেন,গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তৃণমূলের মূল আদর্শ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া এই দল টিকতে পারেনা, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দেই একদিন তারা শেষ হয়ে যাবে।


অঞ্চল সভাপতির পদ নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে গত রবিবার তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল তুফানগঞ্জের দেওচড়াই। মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। আহত হন আরও অনেকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার সেই তুফানগঞ্জেই পদত্যাগের ঘোষণা করলেন যুব তৃণমূল নেতা।