শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর। অভিযোগের তির দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল কোচবিহারের দিনহাটা। সেখানে দলেরই দুই নেতার বিরুদ্ধে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। জখম কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করেছে তৃণমূলের একাংশ। সেই মিছিল থেকে অভিযুক্ত দুই নেতাকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের একজন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল! আর তার থেকে শাসকদলেরই দুই নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্লোগান উঠল। যাঁদের বিরুদ্ধে এই স্লোগান উঠেছে, তাঁরা দিনহাটায় এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম দিনহাটার বুড়ির হাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। 


কী অভিযোগ:
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দীপঙ্কর পালকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধান প্রভাত বর্মন ও বুড়িরহাট ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণণূল সভাপতি পরিমল দাসের বিরুদ্ধে। ওই দুই নেতার সঙ্গে তাঁদের অনুগামীরাও ছিলেন বলে অভিযোগ। 


জখম কর্মী ভর্তি হাসপাতালে:
মারধরে আহত তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী দীপঙ্কর পাল বলেন, 'আমি বাজারে ছিলাম, তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আমি বিধায়কের (উদয়ন গুহর) লোক। ওরা দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণু সরকারের লোক।'


ঘটনাটিকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন সকালে বাসন্তীর হাট এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্লোগান ওঠে। পরিমল দাস ও প্রভাত বর্মনের নাম করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত দুই নেতার নামে সাহেবগঞ্জ থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। তৃণমূলের দিনহাটা (২) সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, 'কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিয়েছে।  যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধেই তো স্লোগান উঠবে। পুলিশ প্রশাসনকে বলব, তারা যেন ব্যবস্থা নেয়।'


অভিযোগ অস্বীকার:
যদিও, অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি দলের কথামতোই চলবেন। কে, কী অভিযোগ করেছেন, তা তাঁর জানা নেই।  মিছিলে কী স্লোগান দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি কিছু বলতে পারবেন না। 


বিজেপির কটাক্ষ:
এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।  পদ্মশিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকেই কটাক্ষ করেছেন।


আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোচবিহারে অর্ন্তদ্বন্দ্ব কি তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে? এখন প্রশ্ন সেটাই।


আরও পড়ুন: 'কৌশিক সিপিএমই করতেন, এখন টিভি সিরিয়াল করেন', SSC মঞ্চে কৌশিকের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ সৌগতর