শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের পদ্ম শিবিরে বড় ভাঙন কোচবিহারের শীতলকুচিতে। শনিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কয়েকশো কর্মী। কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তাঁরা। শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের এমন যোগদানে উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। তাঁদের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখেই আগ্রহ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
যদিও তৃণমূলের এই দাবি নসাৎ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছে তৃণমূল ভয় দেখিয়ে তাদের কর্মীদের দলে যোগদান করিয়েছে। প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের বড় জয়ের পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার হিড়িক পড়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ভূষণ সিংহ।
তবে ভূষণ সিংয়ের দলে ফেরা নিয়ে কোচবিহার জেলার তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেছিলেন যে এ ধরনের মানুষজনকে যত কম নেওয়া যায়, ততই ভাল। ভোটের আগে অনেকেই অঙ্ক কষছিলেন যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তাঁদের অনেকেই তূণমূলে ফিরতে চাইছেন এখন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ভূষণ সিং।
তবে শুধু শীতলকুচি নয়, নদিয়া থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় জেলায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানের হার বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২১ জুলাইয়ে যেমন চাকদায়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫০০ কর্মী। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে ৫০০ জন বিজেপি নেতা কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে দলবদলের পাল্লা বিজেপির দিকে যতটা ভারি ছিল, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সেই দলবদলের পাল্লা ভারি তৃণমূলের দিকে। একাধিক পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির। দলত্যাগীদের অভিযোগ, উন্নয়নের কাজ করতে না পাওয়ার ক্ষোভ আর গ্লানি থেকেই দলবদল করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের অবশ্য অভিযোগ, পদ্ম শিবিরের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করতে বাধ্য করছে তৃণমূল।