বালেশ্বর: শুক্রবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্য়া। এই ঘটনায় এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন এবং যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Congres Leader Adhir Chowdhury)। 


'বড় ভুল এখানেই..' কীসের কথা বললেন অধীর ?


অধীর চৌধুরী বলেন, 'বারবার বুলেট ট্রেন বুলেট ট্রেন প্রসঙ্গ....। শুনলে আপনি চমকে যাবেন। রোজ দেশের ২৫ লাখ সওয়ারি রেল সফর করে। তো বুলেট ট্রেন চালাতে সব অর্থ ওখানেই বরাদ্দ করা হচ্ছে। কোথাও আবার বন্দে ভারতের কথা বলা হচ্ছে।... তাই এই খাতে যদি ঠিক মতো করে নজর না দেওয়া হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় ভুল এখানেই। যার ফল ভুগতে হচ্ছে।' 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


রেল সূত্রে খবর, বাহানগা বাজারের কাছে ৫টি ট্র্যাকে ছিল ৪টি ট্রেন। প্রথম লাইনটি খালি ছিল। দ্বিতীয় লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। তৃতীয় লাইনে চলছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। চতুর্থ লাইনে ছুটছিল হাওড়া-যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস আর ৫ নম্বর ট্র্যাকে ছিল দ্বিতীয় মালগাড়িটি। রেল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে দ্বিতীয় লাইনে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে তৃতীয় লাইনে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের পিছনের কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে চতুর্থ লাইনে আসা হামসফর এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে। তার ফলে হাওড়াগামী ওই ট্রেনের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। করমণ্ডলের বাকি কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়ে পড়ে পঞ্চম ট্র্যাকে। তার জেরে লাইনচ্যুত হয় ওই ট্র্যাকে থাকা মালগাড়ির ২টি কামরা। 


 কেন ঘটল এই দুর্ঘটনা ?


কিন্তু কেন ঘটল এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কবচের সুবিধা কি ছিল না এই লাইনে ? শনিবার উদ্ধারকাজ শেষে বালেশ্বরের রেলওয়ে মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানালেন, 'উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে, এখন আমরা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করছি। দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ প্রতিরোধকাারী কবচের সুবিধে এই রুটে উপলব্ধ ছিল না '। তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই কবচের সুবিধা হাওড়া - দিল্লি ও দিল্লি - মুম্বই লাইনে উপলব্ধ রয়েছে। সব লাইনে এই কবচের সুবিধে নেই।