ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: বিমানে (Flight Service) যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফের নয়া নিয়ম। কলকাতা (Dumdum Airport) থেকে বিমানে অন্য রাজ্যে যাতায়াতে লাগবে করোনা টেস্টের রিপোর্ট (Covid Report)। ওড়িশা(Odisha), মণিপুর (Monipur), নাগাল্যান্ড (Nagaland), পোর্ট ব্লেয়ার (Port Blaire), জম্মু-কাশ্মীর(Jammu-Kashmir), লাদাখ (Ladakh)-সহ ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে যেতে লাগবে আরটিপিসিআর (RTPCR) নেগেটিভ রিপোর্ট। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। কলকাতা থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক নেগেটিভ রিপোর্ট। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।


আরও পড়ুন: India Corona Update: ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ, ৪২ শতাংশের বেশি বাড়ল দৈনিক মৃত্যু


সম্প্রতি ভারতে ওমিক্রন উদ্বেগে বাড়ায় নবান্নে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, দেশীয় বিমানের ক্ষেত্রেও আরটিপিসিআর (rtpcr) বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল আগেই। বাংলাদেশ (bangladesh), সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসা বিমানে নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেলেঘাটা (beleghata) আইডিতে বিশেষ ওমিক্রন রুম তৈরির নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। আর এতেই বোঝা গিয়েছিল এ রাজ্যেও ওমিক্রন নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকার। 


উল্লেখ্য, রাজ্যে উদ্বেগজনক করোনায় সংক্রমণ। গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক করোনা (Coronanavirus) সংক্রমণ ১০ হাজারের উপরেই ছিল।  রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Deaprtment) বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৩০ জন। সংক্রমণের সঙ্গেই গতকালের তুলনায় বেড়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। রাজ্যে করোনায় একদিনে ৩৪ জনের মৃত্যু।


পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে ৪ দিনে রাজ্যে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের তুলনায় পরীক্ষা বেশি হয়েছে  প্রায় ১৯ হাজার। সংক্রমণ হার কমে ২০ শতাংশের নীচে। সোমবার যদিও রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত একলাফে কমেছিল ৬ হাজার। এদিকে, দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ হাজার ২০৫ জন, মৃত্যু ১০ জনের। রাজ্যে সংক্রমণ-মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। উদ্বেগ বাড়িয়ে সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ৭৬১ জন, মৃত্যু ৭ জনের। একদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৮৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।