কলকাতা: আজ থেকেই বন্ধ রাজ্যের সব পর্যটনকেন্দ্র ও পার্ক। যাঁরা ভ্রমণের জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন দার্জিলিং থেকে দিঘা, তাঁরা ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে বুকিং বাতিল না করে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, সোমবার থেকে চিড়িয়াখানা সহ সব পর্যটনকেন্দ্র ও বিনোদন পার্ক বন্ধ। আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর এই বিধিনিষেধ। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র থেকে পর্যটকদের বাড়ি ফেরার ধূম পড়েছে। আবার এমন অনেকেও আছেন, যাঁরা এই পরিস্থিতিতেও বুকিং বাতিল না করে হাজির হয়েছেন পর্যটনকেন্দ্রে।
পাহাড়ে এখনও হোটেল খোলা থাকলেও চিড়িয়াখানা, রক গার্ডেন, বিভিন্ন পার্ক বন্ধ। তবে এর মধ্যেই অনেকে আবার পাহাড়ে হাজির হচ্ছে। এক পর্যটক যেমন জানালেন, আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল। পরিকল্পনা ছিল। পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণ টয় ট্রেন অবশ্য এখনও চলছে।
আরও পড়ুন, ২০২০-এর লকডাউন স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে ২০২২? ওমিক্রন ঝড়ে কাঁপছে বিশ্ব
কালিম্পঙ থেকে অবশ্য পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন হোটেল বা হোম স্টে-তে বুকিং বাতিল করছেন অনেকেই। আর করোনার মধ্যে বাড়ি ফেরার এই তাড়াহুড়োর সুযোগ নিয়ে, পাহাড় থেকে সমতলে নামার গাড়ির ভাড়াও অনেকটা বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের।
বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এখনও পর্যটকদের ভিড়। আর সেই ভিড়ে উধাও দূরত্ববিধি। অনেকেরই মুখের মাস্ক নামানো। পর্যটক বলেন, " বুকিং ছিল। না এলে টাকা নষ্ট হবে, তাই এলাম।" মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, মতিঝিল, ইমামবাড়া, বন্ধ। কিন্তু এদিন সকালে অনেক পর্যটকই এসে পৌঁছন নবাবের শহরে।থিকথিকে ভিড়ে অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। ফিরতেও শুরু করেছেন পর্যটকরা। দিঘা স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি। পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী ও অযোধ্যা পাহাড় থেকেও অনেকে ফিরতে শুরু করেছেন। পর্যটকদের দাবি, তাঁদের হোটেল খালি করতে বলা হয়েছে।